—প্রতীকী ছবি।
করোনা যে ছোট-মাঝারি শিল্পকে বিপুল ধাক্কা দিয়েছে, তা ফের উঠে এল কেন্দ্রের পরিসংখ্যানেই। বৃহস্পতিবার লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ দীপক (দেব) অধিকারীর প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতনরাম মাঝি জানিয়েছেন, অতিমারির পরে গত চার বছরে সরকারের পোর্টালে ২০২০-র ১ জুলাই থেকে প্রায় ২.৭৬ কোটি ছোট সংস্থা নাম লিখিয়েছে। তাদের ঘোষিত কর্মী সংখ্যা ১৮.১৬ কোটি। এর মধ্যে ৪৯,৩৪২টি সংস্থাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেগুলিতে কাজ করতেন প্রায় ৩.১৭ লক্ষ মানুষ। পশ্চিমবঙ্গে ওই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত ১১.৪১ লক্ষ ছোট সংস্থা পোর্টালে নাম লিখিয়েছিল। সেগুলিতে কর্মী সংখ্যা ছিল প্রায় ১.০৭ কোটি। এর মধ্যে ১৫৪৮টি সংস্থা ঝাঁপ গুটিয়েছে। যেগুলিতে কর্মী ছিলেন ৮৮৫৬ জন।
প্রথমে নোটবন্দি, তার পরে জিএসটি, শেষে অতিমারির জেরে বহু ছোট সংস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে আগেই অভিযোগ ছিল। সরকারের অবশ্য যুক্তি, সংস্থা বন্ধ হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে কেন্দ্র আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছে, দেশের মোট উৎপাদন মূল্যে ছোট শিল্পের শিল্পের ভাগ আগের তুলনায় বাড়লেও, এখনও অতিমারির আগের স্তরে পৌঁছয়নি। কোভিডের সময় দেশের মোট উৎপাদন মূল্যে ছোট-মাঝারি সংস্থার ভাগ ছিল ৩০.৫%। করোনার পরে তা নেমেছিল ২৭ শতাংশের ঘরে। এখন ফের ৩০% ছুঁলেও, অতিমারির আগের জায়গায় পৌঁছয়নি। সরকার জানিয়েছে, দেশে মহিলাদের মালিকানাধীন ছোট শিল্পের সংখ্যা ১.৮৪ কোটি।
ছোট সংস্থায় কাজ হারানোর কথা জানালেও, সামগ্রিক ভাবে দেশে গত ছ’বছরে কর্মীর সংখ্যা ৩৫% বেড়ে ৬৪.৩৩ কোটিতে পৌঁছেছে বলে রাজ্যসভায় জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী শোভা কারান্ডলাজে। যদিও বাজেট বিতর্কে বৃহস্পতিবার বিরোধীদের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাজের সুযোগ কমাতে চাইছে কেন্দ্র। তার সঙ্গেই কৃত্রিম মেধার প্রসার দেশে বেকারত্বের সমস্যাকে আরও বাড়াবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy