ছবি: সংগৃহীত।
গাড়ি হোক বা টিভি-ফ্রিজ, করোনার ধাক্কায় যখন বাজার থেকে সব চাহিদা উধাও হয়েছিল, তখন লোকসান গোনা ছাড়া পথ ছিল না সংস্থাগুলির সামনে। এ বার চাহিদা যখন ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে, তখন সেগুলি তৈরি করাই এমন সঙ্কটের মুখে পড়েছে যে, আগামী দিনে ব্যবসার ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়বে কি না সেই ভয়ে কাঁটা গাড়ি এবং ভোগ্যপণ্য শিল্প। কারণ, সেমিকন্ডাক্টরের অভাবে বাজারে সেগুলি তৈরির যন্ত্রাংশের জোগান কমে গিয়েছে আশঙ্কাজনক ভাবে।
সেমিকন্ডাক্টরের সরবরাহে সমস্যার কথা ডিসেম্বরেই জানিয়েছিল ভারতের গাড়ি সংস্থাগুলি। করোনার আবহে আগামী দিনে তা বিক্রিবাটাকে আরও কতটা অনিশ্চিত করতে পারে, সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন শিল্পকর্তারা। তবে ভারতে কোনও সংস্থাকে উৎপাদন বন্ধ করতে না-হলেও, আমেরিকায় সাময়িক ভাবে ঝাঁপ নামাতে হয়েছে একাধিক গাড়ি বিক্রেতাকে। সেমিকন্ডাক্টরের অভাবে পণ্য তৈরি করতে না-পারায় রফতানি ব্যবসা ২৫% ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়েছে ভোগ্যপণ্য সংস্থা হোয়ার্লপুল-ও। এই অবস্থায় সমস্যা কতদূর গড়াবে, তার জের ভারতের বাজারকে আরও কতটা ধাক্কা দেবে, তা নিয়ে আশঙ্কা দানা বাঁধছে।
গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়ামের ডিজি বিষ্ণু মাথুর সোমবার বলেন, ‘‘সেমিকন্ডাক্টরের অভাবে, ইনফোটেনমেন্ট, অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের জোগান কমছে। সমস্যায় পড়ছে সংস্থাগুলি।’’ গাড়ি শিল্পের দাবি, লকডাউনে ব্যবসা সম্পূর্ণ বসে যাওয়ায় এমনিতেই আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে বহু সংস্থা। এরই মধ্যে সেমিকন্ডাক্টরের মতো যন্ত্রাংশের মূল উপাদানে টান পড়া আশঙ্কাজনক, বলছেন মাথুর। আমেরিকায় পরিস্থিতি ঘোরালো হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে কারখানা সাময়িক বন্ধ রাখছে হোন্ডা, জেনারেল মোটরসের মতো সংস্থা। সংবাদ মাধ্যমের খবর, ৫-১৩ এপ্রিল দক্ষিণ কোরিয়ায় একই পথে হাঁটার কথা ভাবছে হুন্ডাই মোটর-ও।
আমেরিকার সংস্থা হোয়ার্লপুলের কর্তারা জানিয়েছেন, চিনের কারখানা থেকে আমেরিকা ও ইউরোপে পণ্য রফতানি ধাক্কা খাচ্ছে। কারণ, যন্ত্রাংশের জোগান কমায় আগে তাঁরা সে দেশের চাহিদা মেটাচ্ছেন। এ দিকে, চিন সেমিকন্ডাক্টর ও চিপের জন্য আমেরিকা, ইউরোপ এবং তাইওয়ানের উপরে নির্ভরশীল। আমেরিকা থেকে তা পাওয়া নিয়ে নিষেধাজ্ঞার জেরে তারা দেশীয় সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে উন্নত করে জোগান নিশ্চিত রাখতে চাইছে। সে জন্য তাতে কর ছাড় ঘোষণা করেছে। এর হাত ধরে চিনের বাজারের চাহিদা কিছুটা মিটলে আখেরে বিশ্ব বাজারে জোগানের ভারসাম্য কিছুটা মেরামত হতে পারে বলে মত একাংশের।
অনেকের অবশ্য অভিযোগ, চিপ, সেমিকন্ডাক্টরের জোগানে টান টের পেয়ে বহু সংস্থা আতঙ্কে বাড়তি যন্ত্রাংশ মজুত করছে। এতেও ভুগছে বাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy