দূষণ লুকোনোর দায় নিয়ে ফোক্সভাগেনের সিইও পদ ছেড়েছিলেন মার্টিন উইন্টারকর্ন। এ বার মাইলেজ পরীক্ষায় কারচুপির দায় মেনে সিইও পদ থেকে সরছেন সুজুকির ওসামু সুজুকিও। একই কারণে অবসর নিচ্ছেন এগ্জিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ওসামু হোন্ডা। সিদ্ধান্ত হয়েছে শীর্ষ কর্তা ও পরিচালন পর্ষদের অনেকের বেতন-বোনাস ছাঁটাইয়েরও।
ফোক্সভাগেন, মিৎসুবিশি, সুজুকি। সম্প্রতি নানান কারচুপির ঘটনা একের পর এক সামনে এসেছে বিশ্বের প্রথম সারির এই সব গাড়ি বহুজাতিকের অন্দরমহল থেকে। সব ক্ষেত্রেই উদ্দেশ্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে যে কোনও উপায় টেক্কা দেওয়া। গত বছর প্রথমে মার্কিন মুলুকে ফোক্সভাগেনের দূষণ কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসে। পরে তা ধরা পড়ে ইউরোপে। দূষণ কমিয়ে দেখাতে কিছু গাড়িতে সফটওয়্যার লাগিয়েছিল সংস্থা। মিৎসুবিশি মোটরস দূষণ কমিয়ে দেখাতে মাইলেজের হিসেবে কারচুপির কথা মেনেছে। সুজুকি-ও জানিয়েছে মাইলেজে কারচুপির কথা। যদিও সংস্থার দাবি, তাদের জ্বালানি পরীক্ষা কেন্দ্রটি সমুদ্রের তীরবর্তী পাহাড়ে অবস্থিত বলে বিভ্রান্তিমূলক ফল পাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, প্রতিযোগিতায় টেক্কা দিতে হালে বিভিন্ন গাড়ি সংস্থা কোনও নিয়মেরই তোয়াক্কা করছে না। বিশেষত দূষণ বিধি কঠোর হওয়ায় ব্যবসা বাড়াতে গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে কারচুপির ঘটনা বাড়ছে। তা ছাড়া, বেশি মাইলেজ ক্রেতা টানার ক্ষেত্রেও বাড়তি আকর্ষণ। তাই আমেরিকা, ইউরোপের মতো প্রথম বিশ্বেও তা বাড়িয়ে দেখাতে পিছপা হচ্ছে না তারা। অভিযোগ, ব্যবসা বৃদ্ধির রঙিন ছবি তুলে ধরতে অভ্যন্তরীণ কাজে স্বচ্ছতার অভাব ঘটলেও যতক্ষণ না তা তদন্তে ধরা পড়ছে, ততক্ষণ মাথাও ঘামাচ্ছে না সংস্থাগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy