অতিমারি কেড়েছে বহু মানুষের রুজি-রুটি। ফাইল চিত্র।
দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে অতিমারি বড় ধাক্কা দিয়েছে তো বটেই, সঙ্গে কেড়েছে বহু মানুষের রুজি-রুটি। কী প্রথম ঢেউয়ে, কী দ্বিতীয় ঢেউয়ে। এই প্রেক্ষিতে উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র সমীক্ষায় উঠে এসেছে, অতিমারির দ্বিতীয় ধাক্কায় শহরের পুরুষদের কাজ গিয়েছে মহিলাদের চেয়ে বেশি। যার ফলে রোজগারহীন হয়ে পড়েছে বহু পরিবার।
গত বছর ছবিটা ছিল উল্টো। সিএমআইই-র পরিসংখ্যান বলছে, সারা দেশে যত মানুষ কাজের বাজারে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে শহরের মহিলাদের অংশীদারি মাত্র ৩%। কিন্তু করোনার প্রথম ঢেউয়ে যত মানুষের কাজ গিয়েছিল, তার মধ্যে তাঁদের ভাগ ছিল ৩৯%। সংখ্যার হিসেবে, সেই সময়ে নিট ৬৩ লক্ষ খোয়া যাওয়া কাজের মধ্যে শহরের মহিলাদের সংখ্যা ২৪ লক্ষ। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এ বছরের এপ্রিল-জুনে সব চেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছেন শহরের পুরুষেরা। এ দফায় মোট যত সংখ্যক কাজ গিয়েছে, সেখানে তাঁদের ভাগ ৩০%।
সিএমআইই-র কর্তা মহেশ ব্যাসের বক্তব্য, শুধু মাত্র সংখ্যা দিয়ে এই সমস্যার গুরুত্ব বিচার করা যাবে না। শহরের পুরুষদের বড় অংশ গুণগত মানের দিক দিয়ে ভাল কাজ করেন। তাঁদের কাজ হারানোর অর্থ হল, মোট আয় বিপুল কমে যাওয়া। তা ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে শহরের মহিলারা পরিবারের দ্বিতীয় রোজগেরে। তাঁরা কাজ হারালে পরিবারের উপার্জন কমে। কিন্তু পুরুষদের কাজ যাওয়ার ফলে বহু পরিবারের রোজগার পুরোপুরি তলিয়ে যায়। সে কারণে এই পর্যায়ে কাজ হারানোর বিষয়টি বেশি উদ্বেগের। চলে যাওয়া কাজের একটা বড় অংশ হয়তো ভবিষ্যতে ফিরে আসবে। কিন্তু এই ক্ষত মেরামত হওয়া কঠিন। রোজগার হারানো মানুষদের যে অংশ ফের কাজ পেয়েছেন, তাঁদের অনেকেই কাজ করছেন কম মজুরিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy