— প্রতীকী চিত্র।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ গ্রহণের ঠিক আগে রাশিয়ার দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা এবং রুশ তেল সরবরাহকারী ১০০টিরও বেশি জাহাজের উপরে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার জেরে বিশ্বের তেলের বাজারে আশঙ্কার পারদ চড়তে শুরু করে। এই ঘটনার প্রভাব এবং ট্রাম্পের সম্ভাব্য পদক্ষেপ ঘিরে যখন আলোচনা তুঙ্গে, ঠিক তখনই ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, রুশ তেলের আমদানি বজায় রাখার ব্যাপারে তাদের দিক থেকে কোনও সমস্যা নেই। তবে সে ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থ রক্ষিত হতে হবে। বস্তুত, বিশ্বের যে প্রান্তেই সস্তায় তেল পাওয়ার সুযোগ রয়েছে, সেখান থেকেই কিনবে ভারত। দেশে নির্বিঘ্নে তেল সরবরাহই দিল্লির মুখ্য উদ্দেশ্য।
বাইডেনের ঘোষণার পরেই বিশ্ব বাজারে তেলের দর উঠতে থাকে। ব্যারেল প্রতি ব্রেন্ট ক্রুড পার করে ৮২ ডলার। তবে তার পরে গত ২০ জানুয়ারি শপথের পরে প্রথম বক্তৃতাতেই ট্রাম্প স্পষ্ট করে দেন, সাবেক জ্বালানির উপরেই ভরসা রাখবেন তিনি। তেলের উৎপাদন বাড়াবেন দেশের মাটিতে। সেই ঘোষণার প্রভাবে ফের তেলের দাম মাথা নামাতে শুরু করে। ফেরে ৭৬ ডলারের কোঠায়। তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর স্পষ্ট বক্তব্য, তেল উৎপাদনকারী দেশগুলি যতই উৎপাদন কমাক না কেন, বাজারে জ্বালানির অভাব নেই। ফলে আমদানির উৎস খুঁজে পেতেও ভারতের পক্ষে সমস্যা হবে না।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারত তার আমদানি চাহিদার মাত্র ০.২% রাশিয়া থেকে কিনত। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হতেই রুশ জ্বালানির উপরে বিধিনিষেধ চাপায় পশ্চিমের দেশগুলি। তখন থেকেই রুশ তেলের দামে ছাড়ের সুযোগ নিয়ে ভারতীয় তেল সংস্থাগুলি তার আমদানি বাড়াতে থাকে। এখন তেল আমদানির প্রায় ৩০% আসে রাশিয়া থেকে। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে পুরী বলেন, ‘‘আমরা যদি (রুশ তেল) ছাড়ে পাই তা হলে অবশ্যই কিনব। অন্য কোথাও সেই সুবিধা পেলে সেখান থেকেই কিনব।... নির্দিষ্ট কারও কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল কেনার কোনও বাধ্যবাধকতা আমাদের নেই। আমাদের বাধ্যবাধকতা শুধু সস্তা তেলে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy