ছবি: সংগৃহীত।
গোড়ায় আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত ন্যানো-কে এক লাখে বেঁধে রাখতে পারেনি টাটারা। গাড়ির দাম বৃদ্ধির জন্য পশ্চিমবঙ্গে প্রকল্পের আটকে যাওয়াও অন্যতম কারণ বলে ইঙ্গিত ছিল তাদের। গুগ্লের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে জলের দরে স্মার্ট ফোন আনছে তারা, আশ্বাস দিয়েছিল রিলায়্যান্স জিয়ো। বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলি বলছে, আশার তুলনায় অনেক দামি সেটি। সেমিকনডাক্টর চিপের অভাব ও তার জন্য আনতে দেরি হওয়াই এর কারণ।
আর এখানে দাঁড়িয়ে ন্যানোর সঙ্গে জিয়ো স্মার্ট ফোনের তুলনা চলে আসছে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, আশঙ্কা ছিল সস্তার ন্যানো এলোমেলো করে দেবে ভারতের গাড়ি বাজারকে। কিন্তু তা হল কই! জিয়ো-গুগ্লের স্মার্ট ফোনের বাজারকে নাড়িয়ে দেওয়ার জল্পনা নিয়েও তাই সন্দেহ বিস্তর। যদিও কেউ কেউ মনে করাচ্ছেন, বছর পাঁচেক আগে জিয়োরই সস্তার টেলি পরিষেবা কী ভাবে বাকি সব সংস্থাকে মাসুল কমাতে বাধ্য করিয়ে এই শিল্পকে এলোমেলো করেছিল। তবে পাল্টা জল্পনা মাথা তুলছে উপদেষ্টা ও বিশ্লেষক সংস্থার প্রশ্নে, এখনকার দিনে ৬০০০ টাকা ছাড়ানো স্মার্ট ফোনের দামে তেমন ঢেউ তোলা যায় কি?
রিলায়্যান্স কর্ণধার মুকেশ অম্বানী বলেছিলেন, ১০ সেপ্টেম্বর স্মার্ট ফোন আসছে। বাস্তবে এসেছে বৃহস্পতিবার। উপদেষ্টা সংস্থা ক্রেডিট সুইসের মতে, আশা ছিল ফোনের দাম হবে ৩৫০০ টাকার আশেপাশে। সেটা হয়নি। যেটা হয়েছে, তাতে তরঙ্গ তৈরি হয় না।
মুকেশ বলেছিলেন, তাঁর স্বপ্ন, ২জি-মুক্ত ভারত গড়ার, প্রায় ৩০ কোটি ২জি পরিষেবার গ্রাহকের বাজারকে স্মার্ট ফোনে বদলাতে উৎসাহী করার। কিন্তু বাস্তবে সেই কথা রাখা নিয়ে সন্দিহান উপদেষ্টা সংস্থা সিএলএস। ফোনটিকে সস্তার বলতে নারাজ বিওএফএ গ্লোবাল সিকিয়োরিটিজ়-ও। তাদের হিসাব, ২জি গ্রাহক সাধারণত ১০০০ টাকার ‘ফিচার’ ফোন ব্যবহার করতে মাসে ৫০-১০০ টাকা খরচ করেন। কোটাক ইনস্টিটিউশনাল সিকিয়োরিটিজ়-ও পিছিয়েই রাখছে জিয়োর ফোনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy