ফাইল চিত্র।
গত অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় এ বারে ভোডাফোন আইডিয়ার (ভিআইএল) লোকসান বাড়ল পাঁচ গুণেরও বেশি। গত এপ্রিল-জুনে তাদের ক্ষতি ছুঁয়েছে ২৫,৪৬০ কোটি টাকা। ব্যবসায় ধাক্কার পাশাপাশি, লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম ফি বাবদ বকেয়ার সংস্থানও লোকসানের অন্যতম কারণ বলে ভোডাফোন আইডিয়া সূত্রের খবর। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, করোনার আবহে ফোন যখন যোগাযোগের সবচেয়ে জরুরি মাধ্যম হয়ে উঠেছে, তখন ব্যবসায় ধাক্কা লাগে কী করে? এতটা ক্ষতি আগামী দিনে সামলাতে পারা নিয়েও সংশয় বেড়েছে তাদের। যার হাত ধরে অনেকের মধ্যে নতুন করে মাথা তুলেছে সংস্থাটির ভবিষ্যৎ ঘিরে পুরোনো সেই জল্পনা। যদিও বকেয়া সংস্থানের বিষয়টি উল্লেখ করে টেলি শিল্পের অন্য অংশের আবার দাবি, একেবারে হাল ছেড়ে দেওয়ার পর্যায়ে পৌঁছয়নি এক সময়ে দেশের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থাটি।
বছর কয়েক আগে তীব্র মাসুল যুদ্ধের জেরে দেশের টেলিকম শিল্প আর্থিক সঙ্কটে পড়ে। তার উপরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি মেটানোর বড় দায় আসে সংস্থাগুলির উপরে। তবে এ ব্যাপারে ভিআইএল, এয়ারটেলের প্রস্তাব নিয়ে শীর্ষ আদালতে শুনানি চলছে।
গত অর্থবর্ষে ৪৬,০০০ কোটি টাকা বকেয়ার সংস্থানের জন্য ৭৩,৮৭৮ কোটি টাকা নিট লোকসানের মুখে পড়েছিল ভিআইএল। এ বছরের এপ্রিল-জুনে ১৯,৪৪০ কোটি টাকা বকেয়ার সংস্থান রেখেছে তারা। এর ফলে আগের বার একই সময়ে ৪৮৭৪ কোটি টাকা ক্ষতি গুনলেও এ বার তা ২৫,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বকেয়া অর্থের সংস্থানের জন্য গত ত্রৈমাসিকে এয়ারটেলেরও ১৫,৯৩৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এক বছর আগে তা ছিল ২৮৪৪ কোটি।
লকডাউনে ভিআইএলের আয়ও কমে দাঁড়িয়েছে ১০,৬৫৯.৩ কোটি। আগের বার তা ছিল ১১,০০০ কোটিও বেশি। সংস্থাটির এমডি তথা সিইও রবীন্দ্র টক্করের বক্তব্য, লকডাউনে রিচার্জ করানোর দোকানগুলি বন্ধ ছিল। আর্থিক কারণে অনেক গ্রাহকই রিচার্জ করাতে পারেননি। সংস্থাটির আয়ের উপর প্রভাব ফেলেছে উভয়ই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy