প্রতীকী ছবি।
করোনা ও দীর্ঘ লকডাউন বহু ছোট ব্যবসায়ীর কোমর ভেঙে দিয়েছে। হালে দোকান-বাজারে বিক্রিবাটা কিছুটা বাড়লেও, তাঁদের অনেকেই আর্থিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত হয়ে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতাটাই হারাতে বসেছেন। তার উপরে ব্যবসার অনেকখানি ছিনিয়ে নিচ্ছে নেট বাজার। এই অবস্থায় বাজেটের জন্য কেন্দ্রের কাছে একগুচ্ছ দাবি-দাওয়া পেশ করে ফের মাথা তুলে দাঁড়ানোর দাওয়াই চাইল ওই সব ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ব্যাপার মণ্ডল।
সেই তালিকায় সুদে ছাড়ের সুবিধা সমেত ব্যবসায়িক ঋণের কথা যেমন আছে, তেমনই রয়েছে আয়কর ছাড়ের আর্জি। ব্যাপার মণ্ডলের দাবি, অংশীদারি ব্যবসা ও সীমিত দায় যুক্ত অংশীদারি সংস্থার (এলএলপি) ক্ষেত্রে আয়করের হার কোম্পানি করের মতো ২২% করা হোক। এখন যা ৩০%।
খুচরো অনলাইন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার ক্ষেত্রে চরম সমস্যায় পড়া ছোট ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে নেট বাজারগুলির উপরে ৫% হারে কর বসানোর দাবিও তুলেছেন। বলেছেন, করোনাকালে যেখানে ইট-কাঠ-পাথরের ছোট দোকানগুলি বহু দিন ধরে ক্রেতার অভাবে ধুঁকছে, সেখানে নেট বাজারে বাড়ছে ভিড়। সকলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সমান সুযোগ দিতে ওই কর জরুরি।
ছোট ব্যবসার সমস্যা শুরু হয়েছে যদিও বেশ কিছু দিন আগেই। প্রথমে নোটবন্দি, তার পরে জিএসটি তাদের আয়ে কোপ বসিয়েছিল। তাতেই ঘা দিয়েছে করোনা। এমন অবস্থায় জিএসটি পরিচালনার ব্যবস্থা নিয়েও ক্ষুব্ধ তারা। ব্যবসায়ীদের সংগঠন কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি) সভাপতি বিসি ভারতী ও সেক্রেটারি জেনারেল প্রবীণ খণ্ডেলওয়াল জানান, এ নিয়ে আপত্তির কথা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে দেখা করে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। সাক্ষাতের সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
আর কনফেডারেশন অব ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশীল পোদ্দার বলেন, ‘‘প্রায় প্রতি দিনই নতুন নতুন নিয়ম আনা হচ্ছে। তিন বছর আগে চালু হওয়ার পরে জিএসটি আইনে ৯০০টির বেশি সংশোধন করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই ওই সব নিয়ম নতুন সমস্যা তৈরি করছে। বহু ক্ষেত্রে অফিসারদেরও সংশোধিত নিয়মগুলি নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy