প্রতীকী ছবি।
ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ কমা, শিল্প-বাণিজ্য সংস্থাগুলির ভাল আর্থিক ফল, বিশ্ব অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত— মূলত এই তিনের প্রভাবে ফের চাঙ্গা হচ্ছে শেয়ার বাজার। যার হাত ধরে গত সোমবার বিএসই-তে নথিভুক্ত সংস্থাগুলির বাজারে ছাড়া মোট শেয়ারের মূল্য ৩ লক্ষ কোটি ডলারের গণ্ডি পার করেছিল। বুধবার সেই অঙ্কই আরও বাড়ল। সোমবার লেনদেনের শেষে ভারতীয় মুদ্রায় ওই যা ছিল ২,১৮,৯৪,২০২.৩০ কোটি টাকা, দু’দিনের ব্যবধানে সেটাই বেড়ে হয়েছে ২,১৯,৯৩,২৫৪.১৫ কোটি। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, গত ১৬ ডিসেম্বর মোট শেয়ার মূল্য ছিল ২.৫ লক্ষ কোটি ডলার। তার পরে মাত্র ১৫৯টি লেনদেনে তা ৫০,০০০ কোটি ডলার পার করে পৌঁছেছে ৩ লক্ষ কোটিতে। উল্লেখ্য, বুধবার সেনসেক্স ফের ৫১ হাজারের সীমা পার করেছে।
বিএসই-র দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০০২ সালের মার্চে ওই শেয়ার বাজারটিতে নথিভুক্ত সংস্থাগুলির মোট শেয়ার মূল্যের পরিমাণ ছিল ১২,৫০০ কোটি ডলার। তিন বছরের মধ্যে তা ৫০,০০০ কোটিতে পৌঁছয়। আবার ২.৫ লক্ষ কোটি ডলার থেকে তা ৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছতে করোনার মধ্যেই সময় নিয়েছে মাত্র ১৫৯টি লেনদেনের দিন। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, ভারতীয় অর্থনীতির শ্লথ গতি শুরু হয়েছে বছর তিনেক আগেই। সেই সময়েও মাথা তুলছিল সূচক। কিন্তু তা হচ্ছিল মূলত বড় সংস্থাগুলির শেয়ারের উপরে নির্ভর করে। ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলির তেমন অবদান ছিল না। কিন্তু বছরখানেক ধরে ওই সংস্থাগুলির শেয়ারেও পুঁজি ঢালছেন লগ্নিকারীরা। সেই সঙ্গে বড় সংস্থাগুলি তো আছেই। সব মিলিয়েই বাড়ছে নথিভুক্ত সংস্থাগুলির শেয়ার মূল্য।
দেকো সিকিউরিটিজ়ের কর্ণধার অজিত দে-র কথায়, ‘‘বড় সংস্থাগুলির আর্থিক ফল ভাল হচ্ছে। সেগুলির শেয়ারের দাম বাড়ার ফলে শেয়ার সম্পদও দ্রুত বাড়ছে। যা লগ্নিকারীদের মনে উৎসাহ জুগিয়েছে। পাশাপাশি ছোট-মাঝারি শেয়ারে পুঁজি ঢালার ঝুঁকি নিচ্ছেন তাঁরা।’’ ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়ালের মতে, ‘‘অর্থনীতি এখন যে অবস্থায় রয়েছে, সূচক তার তুলনায় কিছুটা বেশিই এগিয়ে। তবে অদূর ভবিষ্যতে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। ফলে
বাজারের সুদিন এখন জারি থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy