Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

কৃষি ঋণ মকুবে চিন্তা শক্তিরও

মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থানে ক্ষমতায় এসেই কৃষি ঋণ মকুবের কথা ঘোষণা করেছে কংগ্রেস সরকার। তাদের প্রতিশ্রুতি মতো এই তিন রাজ্যে মকুব হতে চলা ঋণের অঙ্ক ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা। এর আগে একই রাস্তায় হেঁটেছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং পঞ্জাব সরকারও।

শক্তিকান্ত দাস।—ছবি রয়টার্স।

শক্তিকান্ত দাস।—ছবি রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৯
Share: Save:

কৃষি ঋণ মকুব নিয়ে পূর্বসূরির আশঙ্কা শোনা গেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের গলাতেও। সোমবার তিনি বলেন, দেদার কৃষি ঋণ মকুব করা হলে, তা আদৌ অর্থনীতির পক্ষে ভাল নয়। সেই সঙ্গে, এতে নষ্ট হয় ঋণগ্রহীতার ধার শোধের অভ্যেসও। কিছু দিন আগে একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পূর্বসূরি রঘুরাম রাজনও।

মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থানে ক্ষমতায় এসেই কৃষি ঋণ মকুবের কথা ঘোষণা করেছে কংগ্রেস সরকার। তাদের প্রতিশ্রুতি মতো এই তিন রাজ্যে মকুব হতে চলা ঋণের অঙ্ক ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা। এর আগে একই রাস্তায় হেঁটেছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং পঞ্জাব সরকারও। শক্তিকান্তের বক্তব্য, ‘‘আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাংবিধানিক অধিকার নির্বাচিত সরকারের অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু কৃষি ঋণ মকুবের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আর্থিক পরিস্থিতি ভাল ভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’’ সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলিকে সেই মকুব হওয়া ঋণের অঙ্ক মিটিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আদৌ রয়েছে কি না, তা-ও রাজ্য সরকারের পরখ করা জরুরি।

এর আগে ব্যালটের লড়াইয়ে জিততে কৃষি ঋণ মকুবের কথা বলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজনও। সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন বিষয়টিকে আলোচনার চৌহদ্দিতেই আসতে না দেওয়ার। তাঁর মতে, প্রথমত ওই ধার বেশির ভাগ সময়ই গরিব ছোট চাষির কাছে পৌঁছয় না। তার উপরে তা শোধ না হলে, বিপদে পড়ে ব্যাঙ্কগুলি। মাথাচাড়া দেয় অনুৎপাদক সম্পদ, সরকারের ঘাটতিও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy