Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sensex

করোনা আতঙ্কেই মুছে গেল ৭ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ

অতিমারির প্রথম ধাক্কায় গত বছর মার্চ নাগাদ শেয়ার বাজার তলিয়ে গিয়েছিল ঠিকই। তবে পরে তা ৫০ হাজার পেরিয়ে যায়।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২১ ০৭:১১
Share: Save:

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশে। সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় এবং তার জেরে আবার সর্বত্র লকডাউন হবে কি না সেই ভয়ে বৃহস্পতিবারও ৭০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে গেল সেনসেক্স। আগের দিন যা নেমেছিল ৮০০-র বেশি। বহু লগ্নিকারী হাতের শেয়ার বেচে তড়িঘড়ি মুনাফা তুলে নিলেন ঘরে। অনেকে নতুন লগ্নি করতে গিয়েও থমকে গেলেন। ফলে দিনের শেষে সূচক নামল ৪৮ হাজারের ঘরে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, দ্বিতীয় দফায় অতিমারি আগের বারের মতো ক্ষতি করতে পারবে না। ফলে চিন্তার কিছু নেই। এই পড়তি বাজারকে বরং কম দামে ভাল শেয়ার কেনার সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখা উচিত। বিএসই-র লগ্নিকারীরা অবশ্য দু’দিনের পতনে ৭ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ হারিয়েছেন।

অতিমারির প্রথম ধাক্কায় গত বছর মার্চ নাগাদ শেয়ার বাজার তলিয়ে গিয়েছিল ঠিকই। তবে পরে তা ৫০ হাজার পেরিয়ে যায়। একাংশের প্রশ্ন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রথম ধাক্কা সওয়ার পরেও কি তা হলে সূচকের নতুন শিখরে ওঠার দৌড় শুরু হবে? বিশেষত অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কিছু বিক্ষিপ্ত লকডাউন হলেও, আর্থিক কর্মকাণ্ডে আতঙ্কের বহর এখনও কম।

দেকো সিকিউরিটিজ়ের কর্ণধার অজিত দে-র মতে, ‘‘প্রথমবার কোভিডের ব্যাপারে যতটা অজ্ঞ ছিলাম, এখন ততটা নই। সংক্রমণের দ্বিতীয় অধ্যায়ের তীব্রতাও প্রথমবারের মতো হওয়ার আশঙ্কা কম। আমার বিশ্বাস, ফের লকডাউন ঘোষণার ব্যাপারে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারগুলি অনেক ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ করবে। এ ছাড়া প্রতিষেধক প্রয়োগও চলছে। যা প্রথমবারে ছিল না। ফলে লগ্নিকারীদের এত উদ্বিগ্ন হওয়ার তেমন যুক্তি নেই।’’

বাজারমহল বলছে, বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন হলেও আর্থিক কর্মকাণ্ড ধাক্কা খেতে পারে। বিশেষত দেশের বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে। তাই বাজার নড়বড়ে। লগ্নিকারীরা শেয়ার কিনছেন কম, বেচছেন বেশি। এ দিন বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারতে ৩৩৮৩.৬০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। তবে ২২৬৭.৬৯ কোটি টাকা লগ্নি করেছে দেশীয় আর্থিক সংস্থা। বিএনকে ক্যাপিটাল মার্কেটসের কর্তা অজিত খণ্ডেলওয়াল মনে করেন, ‘‘বাস্তবে সঙ্কট এখনও তীব্র না-হলেও এমন পরিস্থিতিতে বাজার সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। এ বারও সেটাই হচ্ছে।’’

তবে সাধারণ ভাবে এই পতনকে শেয়ারের দামে সংশোধন বলেই মানছেন বিশেষজ্ঞেরা। খণ্ডেলওয়াল বলেন, ‘‘শেয়ার দর যে ভাবে মাত্রাছাড়া বেড়েছিল, তাতে মেশানো ছিল কৃত্রিমতা। এই পতন সেটা কাটিয়ে বাজারের জমি পোক্ত করছে। উপরি পাওনা হিসেবে লগ্নিকারীরা পাচ্ছেন কম দামে ভাল শেয়ার কেনার সুযোগ।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Sensex Share Market COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy