প্রতীকী চিত্র।
করোনার ধাক্কায় গত অর্থবর্ষে জিডিপি তলিয়ে যাওয়ার খবরই হোক বা চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই। কিছুই দমিয়ে রাখতে পারছে না শেয়ার বাজারকে। বৃহস্পতিবার ৩৮২.৯৫ পয়েন্ট বেড়ে সেনসেক্স থেমেছে ৫২,২৩২.৪৩ অঙ্কে। যা নতুন রেকর্ড। নিফ্টি গত কয়েক দিন ধরেই নজির গড়ছে। এ দিনও যার ব্যতিক্রম হয়নি। ১১৪.১৫ পয়েন্ট বেড়ে সূচকটি দাঁড়িয়েছে ১৫,৬৯০.৩৫ অঙ্কে।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, গত এক-দেড় সপ্তাহে সংক্রমণ কমা এবং গত অর্থবর্ষে বেশ কিছু সংস্থার ভাল ফলই সূচকের বৃদ্ধিতে ইন্ধন জুগিয়েছে। মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন বলছেন, অর্থনীতি জুলাই থেকে ঘুরে দাঁড়াবে এবং আগামী দিনে ভাল ফল করবে। সেই আস্থাই লগ্নিকারীদের বাজারে আসার অন্যতম কারণ। যা সূচককে রেকর্ড উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। যদিও অন্য অংশ মনে করাচ্ছে, অর্থনীতির উন্নতির পক্ষে এখনও পাকাপোক্ত পরিসংখ্যান মেলেনি। যেটা ভাল মনে হচ্ছে, তার অধিকাংশই গত বছরের তলানি ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে। তার উপরে করোনা যুঝতে রাজ্যে রাজ্যে লকডাউন দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। ফলে বাজারের এতটা উত্থান ধরে রাখা মুশকিল। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কও বার্ষিক রিপোর্টে এই টানা উত্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়াল বলছেন, ‘‘বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার পুঁজি এবং করোনা পরিস্থিতিই বাজারকে চালাচ্ছে। শেয়ারের দাম বেশি না কম, সেটা এখন দেখা হচ্ছে না। এই অবস্থায় সূচক উঠলেও, সতর্ক থাকতে হবে।’’ দেকো সিকিউরিটিজ়ের কর্ণধার অজিত দে-ও বলেন, ‘‘বাজার সার্বিক ভাবে বাড়ছে না। উঠছে বড় কিছু ধাতু, ভোগ্যপণ্য, পরিকাঠামো, আর্থিক পরিষেবা সংস্থা ও ব্যাঙ্কের শেয়ারের হাত ধরে। তাই ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের সাবধান থাকা উচিত।’’ তবে তাঁর মতে, লকডাউন পুরো উঠলে এবং করোনার তৃতীয় ঢেউ না-এলে, অর্থনীতির উন্নতির হাত ধরেই দীর্ঘ মেয়াদে চাঙ্গা থাকবে বাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy