প্রতীকী ছবি।
প্রায় ২১ মাস আগে ফিউচার গোষ্ঠীর খুচরো, পাইকারি, গুদাম ও পণ্য পরিবহণ ব্যবসা অধিগ্রহণের কথা জানিয়েছিল রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ় (আরআইএল)। তাতে আপত্তি তোলে ফিউচার কুপন্সে অংশীদারি থাকা ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজ়ন। এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের মধ্যেই শনিবার বিএসই-কে সেই চুক্তি তারা কার্যকর করতে পারছে না বলে জানাল রিলায়্যান্স। শুক্রবারই এই চুক্তিতে ফিউচার রিটেল-সহ গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সিকিয়োর্ড ঋণদাতাদের (ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান যারা সম্পত্তি বন্ধকের বিনিময়ে ঋণ দেয়) নিয়মমাফিক ৭৫ শতাংশের সায় মেলেনি। রিলায়্যান্সের দাবি, এই পরিস্থিতিতেই চুক্তি কার্যকর না-করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে অবশ্য রিলায়্যান্স, ফিউচার কিংবা অ্যামাজ়নের তরফে এ দিন কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ফিউচার গোষ্ঠীর ১৯টি সংস্থাকে ফিউচার এন্টারপ্রাইজ় বলে একটি সংস্থায় রূপান্তরিত করে সেই সংস্থাটি রিলায়্যান্সের হাতে যাওয়ার কথা ছিল। নিয়ম অনুযায়ী, এ ক্ষেত্রে ‘সিকিয়োর্ড’ ঋণদাতাদের ৭৫ শতাংশের অনুমোদন জরুরি। কিন্তু তাদের ৯৯.৯৭ শতাংশই চুক্তির বিরোধিতা করেছেন। তবে ৯৯.৯৯% শেয়ারহোল্ডার এবং ৬২.৬৫% ‘আনসিকিয়োর্ড’ ঋণদাতা (যারা বন্ধক ছাড়াই ঋণ দেয়) চুক্তির পক্ষে মত দিয়েছে।
রিলায়্যান্সের এ দিনের বার্তার পরে ফিউচারের ভবিষ্যৎ নিয়েই একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠে গেল। তাদের যে প্রায় ৩৫০টি বিপণি রিলায়্যান্সের হাতে গিয়েছে, সেগুলি ও সম্পত্তির বিষয়টি নিয়েও ধোঁয়াশা কাটেনি। এ দিকে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ফিউচারের বিরুদ্ধে দেউলিয়া আইনে মামলা শুরুর জন্য সম্প্রতি এনসিএলটি-র দ্বারস্থ হওয়ায় ফিউচার রিটেলের পরিচালন পর্যদ ও ম্যানেজমেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। শনিবারই পদত্যাগ করেছেন ফিউচার লাইফস্টাইলের চেয়ারপার্সন শৈলেশ হরিভক্তি। যিনি ঋণদাতা ও শেয়ারহোল্ডারদের বৈঠকের চেয়ার ছিলেন। তার উপরে এ দিনই ফিউচার এন্টারপ্রাইজ়েস ২৯১১.৫১ কোটি টাকা ঋণ শোধে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ফিউচারের ভবিষ্যৎ কোন দিকে গড়ায়, সে দিকেই চোখ সকলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy