ফাইল চিত্র।
ভারতের আর্থিক উদারীকরণ তিন দশক পার করেছে। বেসরকারি পুঁজিকে বেশি করে স্বাগত জানিয়ে বাজারকে আরও প্রসারিত করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিও পৌঁছেছে ৩ লক্ষ কোটি ডলারের কাছাকাছি। কিন্তু এর পরেও প্রশ্ন উঠেছে, এই সমৃদ্ধি কি সমস্ত স্তরে ঠিক ভাবে পৌঁছেছে? যে প্রশ্ন আরও প্রকট হয়েছে অতিমারির বাজারে। এ বার রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের চেয়ারম্যান তথা ধনীতম ভারতীয় মুকেশ অম্বানী পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, এই অর্থনৈতিক সংস্কারের সুফল সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে সমান ভাবে পৌঁছয়নি। আর্থিক ভাবে নীচের স্তরের মানুষের জন্য সম্পদ তৈরি করতে হলে দরকার উন্নয়নের ‘ভারতীয় মডেল’। যার মাধ্যমে অন্তত ১০০ কোটি মানুষের মধ্যবিত্ত শ্রেণি তৈরি করে বাজারকে আরও প্রসারিত করা সম্ভব হবে। ২০৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীনতার শতবর্ষে পা রাখবে তখন তার অর্থনীতি পাল্লা দেবে আমেরিকা এবং চিনের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর বিমল জালান সম্প্রতি বলেছেন, ভারতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ হয়েছে প্রচুর। কিন্তু তার রূপায়ণ হয়েছে দুর্বল ভাবে।
যাঁর হাত ধরে দেশে অর্থনীতির উদারীকরণ হয়েছিল, সেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, সামনের রাস্তা যথেষ্ট অমসৃণ। আর মোদী সরকার দিয়েছে আরও সংস্কারের বার্তা। এই পরিস্থিতিতে এক নিবন্ধে উদারীকরণের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মুকেশ। তাঁর বক্তব্য, ১৯৯১ সালে দূরদৃষ্টি এবং সাহসে ভর করে অর্থনীতির গতিপথটাই বদলে দেওয়া হয়েছিল। সরকার নিজে উদ্যোগী হয়ে তাৎপর্যপূর্ণ উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিল বেসরকারি ক্ষেত্রকে। ভারতীয় অর্থনীতি এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম। দারিদ্রের হার কমে হয়েছে অর্ধেক।
তবে মুকেশ মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই সাফল্যের উপরে ভর করেই সম্পদের ধারণাকে আরও প্রসারিত করতে হবে। এখন দরকার সকলের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কাজ, বাড়ি, পরিবেশের সুরক্ষা ইত্যাদি। সেই পথেই বাড়বে দেশের বাজার, সমৃদ্ধি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy