ভোগান্তি: নোট কাণ্ডের পরে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল গত মাসেই। সেই মতো সোমবার থেকে পুরোপুরি উঠে গেল সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে (ব্যাঙ্কে গিয়ে ও এটিএম মারফত) নগদ টাকা তোলার সাপ্তাহিক সীমা। শীর্ষ ব্যাঙ্ক যে-সীমা বেঁধে দিয়েছিল গত ৮ নভেম্বর নোট নাকচের পরেই। এবং যে বিধিনিষেধের গেরোয় ফেঁসে এত দিন ধরে বিভিন্ন সময়ে নগদ হাতে পেতে হয়রান হয়েছেন মানুষ।
কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার রাশ অবশ্য সম্পূর্ণ ভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে আগেই। এই অ্যাকাউন্ট মূলত ব্যবহৃত হয় ব্যবসার কাজে। এখন আর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই ‘ওভারড্রাফ্ট’ এবং ‘ক্যাশ-ক্রেডিট’ অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও।
প্রসঙ্গত, গত ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পরেই ব্যাঙ্ক ও এটিএম থেকে টাকা তোলায় কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এটিএম থেকে টাকা তোলার সীমা তখন বাঁধা হয়েছিল ২,০০০ টাকায়।
বাজারে নোটের জোগান কম থাকায়, নগদের ব্যবহারে রাশ টানাই ছিল এর লক্ষ্য। পরে বারবার কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে নতুন নোট ফিরে আসার বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরেই টাকা তোলায় জারি নিয়ন্ত্রণ ধাপে ধাপে শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
সেই অনুযায়ী তিন মাসের লাগাতার নিয়ন্ত্রণে ইতি টেনে ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই এটিএএমে টাকা তোলার দৈনিক সীমা তুলে দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অর্থাৎ সাধারণ মানুষকে প্রতিদিন ডেবিট কার্ড পিছু ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত তোলার যে নিয়ম তখন মেনে চলতে হচ্ছিল, ওই দিন থেকে তা পুরোপুরি উঠে যায়। তবে ব্যাঙ্ক এবং এটিএম মিলিয়ে সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে সপ্তাহে ২৪ হাজার তোলার সীমা তখনও বহাল রাখা হয়েছিল।
তার পরে ৮ ফেব্রুয়ারি চলতি আর্থিক বছরের শেষ ঋণনীতি ঘোষণার পরেই আমজনতাকে স্বস্তি দিয়ে আরবিআই জানিয়েছিল, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সেভিংস অ্যাকাউন্টের টাকা তোলার সীমা সপ্তাহে ২৪ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা এবং পরবর্তী পর্যায়ে ১৩ মার্চ তা পুরোপুরি তুলে নেওয়ার কথা। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পা ফেলার প্রেক্ষিত তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে দু’দিন আগে অরুণ জেটলিও জানান, দেশের অর্থনীতিতে ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে ১২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের নতুন নোট। যেখানে নিষেধাজ্ঞা জারির সময়ে মোট ১৫.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের পুরনো পাঁচশো, হাজার তুলে নেওয়া হয় বাজার থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy