Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

আবারও কাঠামোগত সংস্কারের সওয়াল

সোমবার সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গভর্নর বলেন, বাজেটে চাহিদা ও বিক্রি বাড়ানোর রাস্তা খোলা হয়েছে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। —ফাইল চিত্র

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। —ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৭:৪৮
Share: Save:

অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বাজেটের কয়েক দিন আগে কাঠামোগত সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। বাজেট পেরিয়ে নিজের সেই বক্তব্যেই স্থির রইলেন তিনি।

সোমবার সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গভর্নর বলেন, বাজেটে চাহিদা ও বিক্রি বাড়ানোর রাস্তা খোলা হয়েছে। এখন জরুরি জমি ও শ্রম, কৃষিপণ্য বিপণনের সংস্কারে জোর দেওয়া। তবে তাঁর দাবি, কিছু ক্ষেত্রে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। কিন্তু অর্থনীতিকে ১১ বছরের সব চেয়ে শ্লথ বৃদ্ধি থেকে বার করে আনার জন্য সেগুলি স্থায়ী হওয়া জরুরি।

এর আগে শক্তিকান্ত বলেছিলেন, বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিকে ঠিক মতো বিশ্লেষণ করা এবং সেই অনুসারে ঋণনীতি স্থির করা সারা বিশ্বেই শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলির কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ। ঋণনীতির নিজস্ব সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। তাই ভারতে চাহিদা বাড়াতে এবং অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে কাঠামোগত সংস্কার করা জরুরি। আর তার ক্ষেত্র হিসেবে তিনি তুলে ধরেছিলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পর্যটন, স্টার্ট-আপ ইত্যাদিকে।

অর্থনীতির এই শ্লথ গতি স্বাভাবিক ওঠাপড়ার নিয়মে নাকি কাঠামোগত, সেই প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, ‘‘এর উত্তরে এটাই বলতে চাই যে, অর্থনীতির শ্লথ গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে চক্রাকার এবং কাঠামোগত দু’ধরনেরই ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। বাজেটে চক্রাকার সমস্যার মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কাঠামোগত সংস্কারেরও উল্লেখ রয়েছে। এ বার জরুরি কাঠামোগত সংস্কারকে কাজে পরিণত করা।’’

তবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৪.৫% বৃদ্ধিই তলানি কি না, তা নিয়ে সরাসরি মুখ খুলতে চাননি তিনি। শুধু জানান, কিছু ক্ষেত্রে রুপোলি রেখা দেখা গিয়েছে। দেখতে হবে তা ধরে রাখা যায় কি না। যদিও একই সঙ্গে দাস বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস দেখলে বোঝা যাবে আগামী বছরে বৃদ্ধি ৬ শতাংশে পৌঁছবে বলে আশা। আর্থিক বৃদ্ধির গতি যে কমছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতেই তা বুঝতে পেরে শীর্ষ ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা নিয়েছিল বলেও ফের জানান তিনি।

এ দিকে, চিনে করোনাভাইরাসের দিকে তাঁরা নজর রাখছেন বলেও জানিয়েছেন শক্তিকান্ত। তাঁর মতে, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের কর্ণধার ইতিমধ্যেই বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধিতে এর প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন। ফলে সব দেশেরই উচিত সে দিকে নজর দেওয়া। আর যেহেতু ভারতের বাণিজ্য সহযোগী দেশের অন্যতম চিন, তাই তাঁরাও নীতি নির্ধারক এবং সরকার এতে কড়া নজর রাখছে।

অন্য বিষয়গুলি:

RBI Shaktikanta Das
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy