বজাজ অটোর কর্ণধার রাজীব বজাজ। ফাইল ছবি
বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল বহু দিন আগেই। এ বার যখন দেশের রাস্তায় পুরোদস্তুর সেগুলির চাকা গড়ানো নিশ্চিত করতে চাইছে মোদী সরকার, ঠিক তখনই বিশেষত বৈদ্যুতিক দু’চাকায় আগুন লাগার একাধিক ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে এগুলি তৈরির ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বজাজ অটোর কর্ণধার রাজীব বজাজ। নতুন সংস্থা (স্টার্ট আপ) তৈরি করে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণে নেমে পড়ার হিড়িককে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, কোনও ধারণা না থাকলেও যার খুশি এই বাজারে পা রাখছে। এর জন্য দায়ী সরকারের শিথিল নিয়মও, ইঙ্গিত বজাজ কর্তার।
বেশ কিছু দিন হল তেলের চড়া দামে বিধ্বস্ত মানুষ। বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনলে খরচ বাঁচবে, ক্ষোভের মুখে দাঁড়িয়ে এই বার্তা দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে। এই অবস্থায় গত অর্থবর্ষে এগুলির বিক্রি আগের চেয়ে বহু গুণ বাড়ার হিসাবে ক্রেতাদের ঝোঁক বদলের আভাস ছিল স্পষ্ট। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের আক্ষেপ, সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই সংশয় দানা বেঁধেছে কয়েকটিতে আগুন লাগায়। এতে বৃদ্ধি ধাক্কা খাবে কি না, উঠেছে সেই প্রশ্নও। এই দ্বিধার মধ্যে দাঁড়িয়েই রাজীব ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইচ্ছে হলেই বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে নেমে পড়ার প্রবণতা নিয়ে।
সম্প্রতি পুণেতে তাঁদের বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কারখানার (চেতক টেকনোলজি) উদ্বোধনে তিনি বলেন, ‘‘শুধুমাত্র আগুন লাগাটাই বিষয় নয়। প্রচলিত ইঞ্জিনের (ইন্টারনাল কমবাশন ইঞ্জিন) গাড়িতেও অনেক সময় আগুন লাগে। আসল বিষয় হল, গাড়ি তৈরির পদ্ধতি। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পাগলের মতো দৌড়নোর এই পরিবেশ। যাঁদের এই ব্যবসায় থাকারই কথা নয়, তাঁরা কেন পা রাখছেন এতে? এটা বন্ধ হওয়া দরকার। হতে পারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করেছে।’’ আগে এই শিল্পের সংগঠন এসএমএইভি-র ডিজি সোহিন্দর গিল বলেছিলেন, গাড়িতে ব্যাটারি বসানোর সময় সব কিছু ভাল করে খতিয়ে দেখা দরকার।
টিসিজি ক্রেস্ট-এর রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর সাস্টেনেব্ল এনার্জির প্রধান বিজ্ঞানী অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিপুল শক্তি সঞ্চিত থাকে। তাই ব্যাটারি থেকে তৈরি বিদ্যুৎ ও বাড়তি তাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাটারির ঠিক সুরক্ষা ব্যবস্থাও (ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) জরুরি।
কম গতির বৈদ্যুতিক গাড়ি, বিশেষ করে দু’চাকার গাড়িগুলি চালাতে লাইসেন্স লাগে না। রাজীবের প্রশ্ন, ‘‘সেই নিয়মের সুযোেগ যেখান থেকে খুশি গাড়ি এনে চালানো হচ্ছে। যার ইচ্ছে হচ্ছে তৈরি করছে। আর আপনি মনে করেন, এই স্কুটারে আগুন লাগবে না? কি আশা করেন আপনি?’’
এ দিকে, চেতক স্কুটারের বৈদ্যুতিক সংস্করণ এনেছে বজাজ মোটর। পুণেতে তাদের নতুন কারখানা গড়তে সহযোগী সংস্থাগুলি মিলে ৭৫০ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। বছরে পাঁচ লক্ষ গাড়ি তৈরি করবে তারা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy