পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) কী ভাবে নীরব মোদীকে ঋণ মঞ্জুর করেছিল, সেই সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করা হবে না। ১৩ হাজার কোটি টাকার পিএনবি কেলেঙ্কারির তদন্ত চলছে। তাই ওই সব কাগজপত্র জমা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক।
তথ্যের অধিকার আইনে দায়ের এক মামলায় ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, এই আইনের ৮(১)(এইচ) ধারা অনুযায়ী এ ধরনের পরিস্থিতিতে ওই সব তথ্য প্রকাশ করা যায় না। যেগুলি জানাজানি হলে তদন্তে বাধা আসতে পারে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা বা শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে, ওই আইনে তা প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আছে।
তথ্যের অধিকার-রক্ষা সংক্রান্ত আন্দোলনে যুক্ত মুম্বইয়ের অনিল গলগলি মামলাটি করেন। পিএনবিকে ঋণ মঞ্জুরের জন্য আয়োজিত বৈঠকের বিষয়বস্তু, আলোচ্যসূচি জানাতে বলেন তিনি। দাবি তোলেন, মূল অভিযুক্ত নীরব কত টাকা ঋণ চেয়েছিলেন, ব্যাঙ্ক কতটা দিতে রাজি হয়, সব তথ্যই প্রকাশ করতে হবে।
২৪ বছরের মামলায় জেল: গত ২৪ বছর ধরে চলা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন পিএনবির প্রাক্তন ম্যানেজার চরণজিৎ অরোরা ও আরও তিন জন। সিবিআই জানিয়েছে, তাঁদের পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। জরিমানা ১-৫ লক্ষ টাকা। নয়াদিল্লিতে নিউ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার কনট প্লেস শাখা থেকে ২ কোটি ও কর্পোরেশন ব্যাঙ্কের করোল বাগ শাখা থেকে ২৫ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। কিন্তু ফেরত দেননি। নিউ ব্যাঙ্ক পরে মেশে পিএনবির সঙ্গে। ১৯৯২ সালে পঙ্কজ ফিনান্স অ্যান্ড লিজিং এই প্রতারণার অভিযোগ আনে।
ঋণ খেলাপি মামলা: বেসরকারি সংস্থা জয় অম্বে গৌরী কেমিক্যালসের বিরুদ্ধে ৬৫ কোটি টাকার ঋণ খেলাপের মামলা করল সিবিআই। স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ওই ঋণ ২০১৪-তে অনুৎপাদক সম্পদ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy