—প্রতীকী ছবি।
পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে ‘বাবলার কাঁটা’। সঙ্গে জুড়েছে ভোটের বাদ্যি। ফলে ফের পিছোতে পারে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেল-এর প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইন প্রকল্প!
সহজে জমি ব্যবহারের অনুমতি না পাওয়া এবং অতিমারির জেরে ক্রমাগত পিছিয়েছে উত্তরপ্রদেশে-হলদিয়া পাইপলাইন প্রকল্পটি। যার একটি শাখা দুর্গাপুর থেকে রাজারামবাটি হয়ে যাচ্ছে গয়েশপুর। অন্যটি রাজারামবাটি থেকে হলদিয়া। দুর্গাপুর-গয়েশপুর শাখাটি গত বছরের জুনে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ফের বাধা হয় জমি জট।
আপাতত পাইপলাইনটি পানাগড় পর্যন্ত চালু হলেও, সেখান থেকে গয়েশপুর পর্যন্ত শাখা পাইপলাইন সম্পূর্ণ করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গলসির বাবলায় কিছু জমি ব্যবহারের অনুমতি (আরওইউ) না পাওয়া। এ নিয়ে স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন থেকে নবান্ন পর্যন্ত বহু বার বৈঠক হলেও জট পুরোপুরি খোলেনি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মাস কয়েক আগে জট ছিল ৮৫০ মিটারের মতো এলাকায়। কিছু জমিদাতা ক্ষতিপূরণের অঙ্কে সম্মত হলেও এখনও ২৫০ মিটার জমির আরওইউ অমিল। সংশ্লিষ্ট মহলের আক্ষেপ, এর ফলে রাজ্যে শিল্পায়ন ও সহজে ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এখন ভোটের আগে সেই জট কাটবে কি না, তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের দাবি, আলোচনা চলছে। ভাবা হচ্ছে বিকল্প পথের কথা।
গেল-এর এই গ্যাস পরিবহণ (সিএনজি), শিল্প ও রান্নার জ্বালানি (পিএনজি) হিসেবে ব্যবহৃত হবে। যা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বণ্টনের দায়িত্ব পেয়েছে হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম (এইচপিসি), বেঙ্গল গ্যাস (বিজিসি), আইওসি-আদানি। গয়েশপুর পর্যন্ত লাইন চালু না হওয়ায় বেশি খরচ করে কাসকেডে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় গ্যাস আনছে এইচপিসি এবং বিজিসি। গেল-এর পাইপলাইনের গ্যাস নিয়ে তা থেকে সিএনজি-র জন্য আপাতত বিজিসি ও এইচপিসি-র যে বিশেষ কেন্দ্রগুলি এপ্রিলে চালুর কথা ছিল, সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়ের বাতাবরণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy