প্রতীকী ছবি
মাঝে এক একদিন থমকে দাম। তার পরেই আবার চড়া হারে বৃদ্ধি এবং উচ্চতার নতুন রেকর্ড। এই ছক মিলিয়েই আজ, মঙ্গলবার ফের বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দর। কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে পেট্রল লিটার পিছু ২৫ পয়সা বেড়ে হল ৯২.৯২ টাকা। ডিজেল আরও ২৯ পয়সা দামি হয়ে ৮৬.৩৫ টাকা। স্টেট ব্যাঙ্কের এক রিপোর্টে এ দিনই সতর্ক করে বলা হয়েছে, এই হারে দাম বাড়লে জ্বালানির মতো অত্যাবশ্যক পণ্যের পেছনে মানুষের খরচ আরও বাড়বে। যার মাসুল গুনে চাহিদা কমবে অত্যাবশ্যক নয় এমন পণ্যের। কারণ মানুষ সেগুলির খরচ বাঁচাবেন। ফলে এক দিকে মূল্যবৃদ্ধির পালে আরও হাওয়া লাগবে, অন্য দিকে আর্থিক বৃদ্ধি ধাক্কা খাবে। তাদের পরামর্শ, চিকিৎসার খরচে এখন লাগাম টানা কঠিন। ফলে এই শাঁখের করাত থেকে বাঁচার উপায় একটিই, কর ছেঁটে তেলের দর কমানো।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই সতর্কবার্তার পরে কেন্দ্র এ বার অন্তত উৎপাদন শুল্ক কমিয়ে সাধারণ মানুষকে সুরাহা দিক। দাম কমলে পরিবহণ এবং উৎপাদনের খরচও কমবে। যা মূল্যবৃদ্ধির হারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। পাইকারি বাজারে যে হার ইতিমধ্যেই রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। আশঙ্কা, আগামী দিনে এর থেকে রেহাই পাবে না খুচরো বাজারও। আখেরে ভুগবে অর্থনীতিই।
ইতিমধ্যেই রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগরে পেট্রল লিটারে ১০৩ টাকা পেরিয়েছে। ওই দামই দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি। মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গাতেও তা ১০০ টাকা পার করেছে। মেট্রো শহরগুলির মধ্যে ১০০ ছুঁইছুঁই মুম্বইয়ে। সোমবার সেখানে এক লিটার পেট্রল বিক্রি হয়েছে ৯৮.৮৮ টাকায়। চারটি মেট্রো শহরের মধ্যে ডিজেলেও সেখানেই সর্বাধিক (৯০.৪০ টাকা)।
জ্বালানির দর বৃদ্ধি যে মূল্যবৃদ্ধির হার এবং অর্থনীতিতে চাহিদার ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ, তা স্পষ্টই বলেছেন এসবিআইয়ের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সৌম্যকান্তি ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, এই ভারসাম্য রক্ষায় তেলে কর কমানো জরুরি। জ্বালানিকে জিএসটি-তে এনে করের হার কমানোর দাবি আগেই তুলেছেন বিরোধীরা। তবে কেন্দ্র বল ঠেলেছে জিএসটি পরিষদের ঘাড়ে। রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে তৈরি যে মঞ্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy