প্রতীকী ছবি।
সারা দেশে সাধারণ মানুষের দুর্দশা আরও বহু গুণ বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে আজ ফের উচ্চতার নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলল পেট্রলের দাম। কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে তা লিটার পিছু ৩০ পয়সা বেড়ে হল ১০২.১৭ টাকা। ডিজ়েলও বেড়েছে ৩০ পয়সা। নতুন দাম ৯২.৯৭ টাকা। পেট্রল সেঞ্চুরি করেছে বেশ কিছু দিন আগেই। বাড়তে বাড়তে গত ১৭ জুলাই তা উঠেছিল ১০২.০৮ টাকায়। এত দিন সেটাই ছিল কলকাতায় তার সর্বোচ্চ দর। যা আজ ভাঙল। গণ-পরিবহণের জ্বালানি ডিজ়েলের দাম এই দফায় নাগাড়ে ক’দিন উঠলেও এখনও পুরনো রের্কড ভাঙেনি, তবে ভাঙার মুখে। ১৫ জুলাই কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে তার দর ছিল সর্বোচ্চ, ৯৩.০২ টাকা।
সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমতে থাকলে তত দ্রুত ও বেশি হারে দেশে জ্বালানি সস্তা হতে দেখা যায় না। কিন্তু উল্টোটা হলে যে দাম বাড়ে চোখের পলকে, সেটা ফের প্রমাণিত হল। গত কয়েক মাসে ৭০ ডলারের নীচে থাকার পরে এখন অশোধিত তেল ফের ব্যারেলে ৭৯.১৩ ডলার হয়ে গিয়েছে। বিশ্ব বাজারে দরের এই ওঠাপড়ার সঙ্গে দেশে তেলের দামের তুলনা করলেই বোঝা যাবে আমজনতার ক্ষোভের কারণ, বলছেন বিরোধীরাও। তবে তেল সংস্থাগুলির দাবি, অনেক দিন ধরেই বিশ্ব বাজার থেকে অশোধিত তেল এবং পেট্রল-ডিজ়েল কেনার জন্য চড়া খরচ গুনতে হচ্ছে তাদের।
একেই রান্নার গ্যাসের দাম ৯০০ টাকা ছাড়িয়েছে। তার উপরে তেল আরও দামি হলে মূল্যবৃদ্ধির হারেরও মাথা তোলার আশঙ্কা। যা সাধারণ মানুষের বিপদ বাড়াবে। জরুরি পণ্যে খরচ বেশি করতে হলে কম প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা ধাক্কা খেতে পারে বলে এর আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদদের একাংশও। ফলে তেলে চড়া উৎপাদন শুল্ক কমানোর দাবি আবার জোরালো হচ্ছে। কেন্দ্র অবশ্য সেই সম্ভাবনা বার বার উড়িয়ে দিয়েছে কখনও শুল্কের টাকায় করোনা সামলানোর যুক্তি দিয়ে, কখনও বা ইউপিএ জমানায় ছাড়া তেল বন্ডের দায় মেটানোর বাধ্যবাধকতাকে তুলে ধরে। সেই সঙ্গে ভ্যাট কমানোর জন্য বা তাতে জিএসটি বসানোর সওয়াল করে রাজ্যের কোর্টে বল ঠেলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy