প্রতীকী ছবি।
দু’চাকার গাড়ির বিশাল বাজার ভারত। সারা বিশ্বে বৃহত্তম। বিশেষ করে এখানকার গ্রাম এবং মফস্সলে মোটরবাইক বা স্কুটারের বিক্রি বরাবর চোখে পড়ার মতো। কিন্তু অতিমারি, গাড়ির দাম বৃদ্ধি এবং তেলের চড়া দরে সেই বাজারের কাহিল অবস্থা, জানাল মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রা। তাদের দাবি, এর ফলে ডিলারদের শোরুম থেকে বিক্রি (খুচরো) গত জানুয়ারিতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪% কমেছে। ডিসেম্বরে কমেছিল ২০২০-র তুলনায় ১১%। গত বছর গ্রামীণ অর্থনীতিতে ছাপ ফেলেছিল অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ। দু’চাকার বাজারে সেই অভিঘাত এখনও স্পষ্ট। এই অবস্থার মধ্যে সেমিকনডাক্টরের ঘাটতি উৎপাদনেও ধাক্কা দিয়েছে। গত মাসে দেশের অগ্রণী ছ’টি সংস্থাই ডিলারদের অনেক কম গাড়ি বিক্রি করতে পেরেছে।
ইক্রার ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা গাড়ি সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান রোহন কানোয়ার গুপ্তের মতে, বহু সংস্থা দু’চাকার গাড়ির দাম বাড়িয়েছে। তার উপরে জ্বালানি ভরতে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অনেকেই এত বাড়তি চাপ বইবার অবস্থায় নেই। যে কারণে চাহিদা কমেছে। পাশাপাশি ওমিক্রনের হাত ধরে দেশে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ ঢুকে পড়ার পরে ক্রেতাদের উদ্বিগ্ন মনোভাবেরও প্রতিফলন ঘটেছে বাজারে। সব মিলিয়ে গত দু’মাসে খুচরো বিক্রি যথাক্রমে ১৪% ও ১১% কমেছে। তবে ডিসেম্বরের তুলনায় গত মাসে পাইকারি ব্যবসা (সংস্থাগুলির ডিলারদের কাছে বিক্রি) ১৪% বেড়েছে বলে দাবি ইক্রার।
দেশের বাজারের পরিস্থিতি খারাপ হলেও রফতানি ব্যবসা কিছুটা আশাব্যাঞ্জক, জানান ইক্রার কর্তা। আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকায় রুপোলি রেখা স্পষ্ট। রোহনের দাবি, বাজেটে পরিকাঠামো খাতে যে খরচের কথা বলা হয়েছে তা যদি সত্যি বাস্তবায়িত হয় এবং যন্ত্রাংশের জোগান-শৃঙ্খল উন্নতির যে বার্তা দিয়েছে সরকার সেটা যদি কার্যকর হয়, তবে ফের ছন্দে ফিরবে দু’চাকার গাড়ির বাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy