—প্রতীকী ছবি।
অতিমারির সময়ে কম সুদে ঋণ। জরিমানা মকুব। লেটার অব ক্রেডিটের মাধ্যমে দামে বকেয়া রেখে বিদ্যুৎ কেনা— কেন্দ্রের এই ধরনের বিভিন্ন পদক্ষেপ সত্ত্বেও বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলির কাছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলির বকেয়ার অঙ্কের উন্নতি হয়েছে যৎসামান্য। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, করোনাকালে বিদ্যুতের চাহিদা এবং ক্রেতাদের বকেয়া মেটানোর ক্ষমতা দুই-ই কমেছিল। যার ফলে কমেছিল বণ্টন সংস্থাগুলির আয়। সেই ধাক্কাই এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা যায়নি।
বিদ্যুৎ কেনা এবং সেই বাবদ বকেয়া মেটানোর তথ্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য ২০১৮ সালের মে মাসে প্রাপ্তি পোর্টাল চালু করেছিল কেন্দ্র। সেখান থেকে পাওয়া ফেব্রুয়ারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বণ্টন সংস্থাগুলির থেকে উৎপাদন সংস্থাগুলি ১,০২,৬৮৪ কোটি টাকা পায়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই অঙ্ক ছিল ৮৭,৮৮৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এক বছরে বণ্টন সংস্থাগুলির বকেয়া বেড়েছে প্রায় ১৭%। তবে গত ডিসেম্বর (১,০২,৬৭৬ কোটি টাকা) এবং জানুয়ারির (১,০৩,১১৬ কোটি টাকা) তুলনায় তা সামান্য কমেছে। উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলি বণ্টন সংস্থাগুলিকে দাম মেটানোর জন্য ৪৫ দিন সময় দেয়। তার পরে বকেয়ার উপরে চাপানো হয় জরিমানা এবং সুদ। গত ফেব্রুয়ারিতে সেই ‘ওভারডিউ’-র অঙ্ক ছিল ৯১,৫৪৯ কোটি টাকা। এক বছর আগে যা ৭৩,৮৬৭ কোটি ছিল।
এই বিপুল বকেয়ার হাত থেকে উদ্ধার করতে গত বছরের মে মাসে বণ্টন সংস্থাগুলিকে কম সুদে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পিএফসি এবং আরইসি-র মাধ্যমে ৯০,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। পরে তা বাড়িয়ে ১.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা করা হয়। গত মাসে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহ জানান, তখনও পর্যন্ত ওই প্রকল্পে ১,৩৫,৪৯৭ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। আর বণ্টন করা হয়েছে ৪৬,৩২১ কোটি টাকার ঋণ। তিনি জানান, দেশ জুড়ে টানা লকডাউনের ফলে বণ্টন সংস্থাগুলির আয় কমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy