প্রতীকী ছবি।
জিএসটি আদায়ের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্রের কাছে আরও কয়েক বছর ক্ষতিপূরণ চালু রাখার দাবি জানাল প্রায় ১২টি রাজ্য। তার মধ্যে ছত্তীসগঢ়, কেরল এবং রাজস্থানের মতো বিরোধী শাসিতরা বলেছে, সেই সুবিধা আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হোক কিংবা জিএসটি খাতে রাজ্যগুলির রাজস্বের ভাগ এখনকার ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৭০-৮০% করুক কেন্দ্র। কেউ কেউ আবার ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধির পক্ষে মূলত অতিমারির ধাক্কা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। বুধবার চণ্ডীগড়ে জিএসটি পরিষদের বৈঠকের শেষ দিনে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বার্তা, অগস্টে পরিষদের পরের বৈঠকে তা চৃড়ান্ত হতে পারে।
পিছিয়ে গিয়েছে ক্যাসিনো বা অনলাইন খেলায় করের হার বাড়িয়ে ২৮% করার সিদ্ধান্তও। তবে বৈঠকের প্রথম দিনে ছাড়ের আওতা থেকে বার করে বেশ কিছু পণ্যে কর বসানোর পদক্ষেপ নিয়ে এ দিন মোদী সরকারকে দুষেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর কটাক্ষ, ‘গৃহস্থের সর্বনাশা কর’-এর চেহারা নিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ‘গব্বর সিং ট্যাক্স’।
পরিষেবা ও পণ্য লেনদেনের ক্ষেত্রে ১৭টি কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের করকে মিশিয়ে ২০১৭ সালের ১ জুলাই চালু হয় জিএসটি। রাজ্যগুলির রাজস্ব ক্ষতি ভরতে পাঁচ বছর ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেয় কেন্দ্র। সেই টাকার সংস্থান করতে বিলাসবহুল ও ক্ষতিকারক পণ্যে বসানো হয় সেস। চলতি মাসে ক্ষতিপূরণের সময়সীমা ফুরোচ্ছে। তা এখনও বাড়ানো হয়নি। তবে সম্প্রতি ওই সেস আদায়ের সময়সীমা ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এই দফার বৈঠকে প্রায় ১২টি রাজ্যের দাবি, পাঁচ বছর কাটলেও জিএসটি-র কারণে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি থেকে বেরিয়ে আসা যায়নি। বিশেষত দু’বছরে করোনা তাদের খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকখানি। ফলে এখনও ক্ষতিপূরণ জরুরি। শেষে রাজ্যে অর্থ মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যগুলির আর্থিক উন্নতি ত্বরান্বিত করার জন্য ক্ষতিপূরণের সময়সীমা বাড়ানো জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy