অশোকনগরে তেল হাতে পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ফাইল চিত্র।
অশোকনগরে তেল-গ্যাস প্রকল্পের জন্য রাজ্যের কাছে ১৩.৪৯ একর জমি চেয়েছিল ওএনজিসি। সংস্থার দাবি, এখনও পর্যন্ত মিলেছে ৩ একর। তবে পুরো জমি পাওয়ার অপেক্ষায় কাজ থামিয়ে রেখে সময় নষ্ট করতে নারাজ রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাটি। বরং তাদের লক্ষ্য, উত্তর ২৪ পরগনার এই প্রকল্পটিতে যত দ্রুত সম্ভব পুরোদস্তুর তেল ও গ্যাসের বাণিজ্যিক উৎপাদনে নেমে পড়া। সম্প্রতি যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ওএনজিসি-র একটি সূত্র অবশ্য বলছে, বাকি জমি পাওয়ার উপরে অনেকটাই নির্ভর করছে প্রকল্পের অগ্রগতি। তবে একাংশের দাবি, তেলের বাণিজ্যিক উত্তোলন ও বিক্রি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। হাতে না-আসা জমিতেও কূপ খুঁড়ে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের খোঁজ এবং উৎপাদন চলবে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, জমি না-পেলে সেই কাজ হবে কী করে?
ওএনজিসি সূত্র জানাচ্ছে, যে অঞ্চলে তেল ও গ্যাস পাওয়া গিয়েছে, সেখান থেকে ৩০০ মিটার দূরের ব্লকেও কূপ খুঁড়েই অনুসন্ধান ও উৎপাদনে নামা হবে। তবে সেখানকার জমি এখনও হাতে না-আসায় খনন পদ্ধতি হবে একটু আলাদা। সে ক্ষেত্রে প্রথম যে কূপটি খোঁড়া হয়েছে, সেই অশোকনগর-১ থেকে ধাপে ধাপে সিঁড়ির মতো এগোনো হবে। অর্থাৎ প্রথমে মাটির নীচে লম্বালম্বি (ভার্টিকালি) নামা হবে, তার পরে কিছুটা সমান্তরাল ভাবে (হরাইজ়ন্টালি), তার পরে আবার লম্বালম্বি নীচের দিকে। এ ভাবে ওই ৩০০ মিটার পর্যন্ত যাওয়া হবে মাটির নীচ দিয়েই। তার পরে কূপ খুঁড়ে বাকি কাজ হবে। জানুয়ারিতেই তা শুরু করে দিতে চান ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ।
সংস্থা আগেই জানিয়েছিল, ২০২২ সালের মধ্যে বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদনে নামতে অশোকনগর প্রকল্পে আরও চারটি কূপ খুঁড়বে তারা। নতুন কূপটি তারই অঙ্গ। ওএনজিসির এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানান, নতুন ব্লকে তেল-গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখিয়েছে ভূমি সমীক্ষা। কিন্তু সে জন্য ৩,৭৫০ মিটার গভীরে যেতে হবে। যেখানে অশোকনগর-১ কূপটির গভীরতা ২,৩০০ মিটার। এ জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে বলে দাবি ওই কর্তার। গোটা কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বিশেষজ্ঞ সংস্থা নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
নতুন কূপটি খুঁড়তে লাগবে সাড়ে তিন মাস। অশোধিত তেল এবং গ্যাস পাওয়া গেলে পরীক্ষা করতে লাগবে আরও দেড় মাসের মতো। তার পরই শুরু হবে উত্তোলনের কাজ
পরিকল্পনা এক ঝলকে
• উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে ৭৩৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় তেল ও গ্যাস উৎপাদনের প্রকল্প। যেটি বেঙ্গল বেসিনের অঙ্গ।
• তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য দু’টি এবং তা উত্তোলনের জন্য এখনও পর্যন্ত একটি কূপ খনন করা হয়েছে।
• ২০২২ সালের মধ্যে আরও ৪টি কূপ খনন করা হবে।
• তেল উত্তোলনের জন্য খোঁড়া প্রথম কূপ (অশোকনগর-১) থেকে ৩০০ মিটার দূরের তেল-গ্যাস ব্লকে কূপ খনন শুরু হবে জানুয়ারিতেই। তবে সেই অঞ্চলের জমি এখনও সংস্থার হাত আসেনি।
• তাই অশোকনগর-১ থেকে মাটির তলা দিয়ে সমান্তরাল ভাবে পাইপ নিয়ে যাওয়া হবে। তার পর সেখান থেকে নীচে (ভর্টিকালি) কূপ খোঁড়া হবে।
• খননের কাজে সময় লাগবে সাড়ে তিন মাস।
• এর পরে সেখানে যে অশোধিত তেল ও গ্যাস পাওয়া যাবে, তা পরীক্ষা করতে লাগবে আরও প্রায় দেড় মাস। তার পরেই শুরু হবে উত্তোলনের কাজ।
• প্রস্তাবিত কূপটি খনন করতে ওএনজিসি খরচ করবে প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
• সূত্রের খবর, সেখান থেকে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে তেলও পাওয়া যাবে বলে আশা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy