ফাইল চিত্র।
গত বছর আমপানে ক্ষয়ক্ষতির স্মৃতি ফিকে হওয়ার আগেই বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ থেকে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ তৈরির চোখরাঙানি আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। উস্কে দিচ্ছে গতবার ঝড়ের পরে বহু জায়গা টানা ক’দিন বিদ্যুৎহীন হয়ে থাকার যন্ত্রণাও। এই করোনা সঙ্কটের মধ্যে আলো-জলের সেই হাহাকার ফিরে আসুক চায় না রাজ্যও। তাই শুক্রবারই তার প্রস্তুতি হিসেবে নির্দিষ্ট রূপরেখা চূড়ান্ত করে ফেলল বিদ্যুৎ দফতর। সেই তালিকায় কন্ট্রোল রুম চালু, দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিলের মতো রুটিন পদক্ষেপ যেমন আছে, তেমনই রয়েছে জেলাগুলিতে বাড়তি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাঠানো, দ্রুত বিপর্যয় মোকাবিলার বিশেষ দল মোতায়েনের ব্যবস্থাও।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক স্তরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সার্বিক প্রস্তুতির পরিকল্পনা তৈরি করেন। তার পরে বিদ্যুৎ সচিব সুরেশ কুমার-সহ রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর এবং তিনটি সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার কর্তারা বৈঠকে দুর্যোগ মোকাবিলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন। শুক্রবার বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে আলোচনায় তাঁদের পাশাপাশি সিইএসসি-র কর্তারাও ছিলেন। পরে অরূপবাবু বলেন, ‘‘অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার আরও আগে পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। কিছু সমস্যা হলেও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারব।’’
রাজ্যের দাবি, মেরামতির জন্য যে সব দল গড়া হয়েছে, সেগুলির তথ্য সোমবার দুপুরের মধ্যে জেলাশাসক, বিডিও এবং কলকাতা পুরসভা ও কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে যাবে। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে দলগুলি বিডিও এবং কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটরদের কাছে রিপোর্ট করবে। গ্রাহকদের একাংশের মতে, এ বার প্রস্তুতি হয়তো কিছুটা জোরদার। তবে তার পরেও প্রশাসনিক স্তরে সমন্বয় জরুরি। আমপানে যে খামতি দুর্ভোগ বাড়িয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy