প্রতীকী ছবি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে ঋণ শোধের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তরফে মেলেনি সুরাহা। যার জেরে চিন্তা বাড়ছে অনাদায়ি ঋণ নিয়ে। মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার মতে, ইতিমধ্যেই চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে নতুন করে ১ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ অনাদায়ি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অর্থবর্ষের শেষে ভারতের ব্যাঙ্কিং শিল্পে ঋণের সাপেক্ষে মোট অনুৎপাদক সম্পদের (এনপিএ) পরিমাণ ৬.৯%-৭% হতে পারে। আর নিট হিসেবে এনপিএ হতে পারে ২.২%-২.৩%।
মঙ্গলবারই ২০২১-২২ অর্থবর্ষের শেষে আগামী মার্চে গিয়ে ভারতের ব্যাঙ্কিং শিল্পে অনুৎপাদক সম্পদ ৯% ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আর এক মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিল। বলেছে, খুচরো এবং ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পের অনাদায়ি ঋণ নিয়ে এখনও চিন্তা থাকছে।
ইক্রার কর্তা অনিল গুপ্তেরও মতে, গত বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে যেখানে কিস্তি স্থগিতের সুবিধার আওতায় ছিল মোট ঋণের ৩০%-৪০%, সেখানেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে মাত্র ২% ঋণ পুনর্গঠন হয়েছে। পাশাপাশি, গত অর্থবর্ষের চেয়ে এ বছর এনপিএ-র হার কমবে বলে ধারণা। এই সব পরিসংখ্যান স্বস্তিদায়ক হলেও, অনাদায়ি ঋণের উপরে নজর রাখা জরুরি। বিশেষত, বেড়ে চলা বকেয়া ঋণ এবং পুনর্গঠিত ঋণের হাল কী দাঁড়ায়, তা খেয়াল রাখা দরকার।
তবে ইক্রার মতে, এই অবস্থায় মূলধন জোগাড় জরুরি হলেও, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে পুঁজি জোগানোর জন্য কেন্দ্রের বাজেট বরাদ্দের পুরোটা তাদের দরকার হবে না ঠিকই। কিন্তু ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা যুঝতে এবং লগ্নিকারীদের স্বস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে তা কাজে আসবে। সেই সঙ্গে বড় বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি পুঁজির দিক থেকে ভাল জায়গায় রয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। সব মিলিয়ে এই অর্থবর্ষে ব্যাঙ্কিং শিল্পে ঋণ ৭.৩%-৮.৩% হারে বাড়বে বলে ইক্রার আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy