প্রতীকী চিত্র।
অবস্থা ফিরবে, এই আশায় হা-পিত্যেশ করে বসে আছেন ডিলাররা। কিন্তু শোরুম থেকে নতুন গাড়ির চাবি হাতে নেওয়ার আগ্রহ চোখে পড়ছে না ছিঁটেফোঁটাও। ফলে জানুয়ারিতেও দেশের বাজারে গাড়ি বিক্রির ছবিটা রয়ে গিয়েছে একই রকম মলিন আর হতাশজনক। যা দেখে এক দিকে বেরিয়ে এসেছে ক্ষোভ, বাজেটে কেন বিন্দুমাত্র সাহায্য পেল না গাড়ি শিল্প? অন্য দিকে জানানো হয়েছে আর্জি, অবিলম্বে তাদের বাঁচানোর ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র। সঙ্গে উঠেছে প্রশ্নও, গত অগস্ট থেকে একগুচ্ছ দাওয়াই ঘোষণা করে কেন্দ্র দাবি করেছিল, এ বার ফল মিলবে হাতেনাতে। কিন্তু গাড়ির বিক্রি বাড়ানোর ওষুধ কই? এ ভাবে যদি গাড়ি শিল্পের মতো ক্ষেত্র ‘কোমায়’ চলে যায়, তা হলে কী হবে?
মজুত বাড়ার ভয়ে আগের মাসে ডিলাররা যে সংস্থাগুলির থেকে (পাইকারি বাজার) কম গাড়ি কিনেছে, তা আগেই জানিয়েছে নির্মাতা সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম। বৃহস্পতিবার ডিলারদের সংগঠন ফাডা জানাল, এ বার জানুয়ারিতে গত বছরের তুলনায় শোরুম থেকে সরাসরি গাড়ি বিক্রি কমেছে ৭ শতাংশেরও বেশি। রাজ্যে অবস্থা আরও খারাপ। সব ধরনের গাড়ির বিক্রি কমেছে অনেকখানি করে। সব মিলিয়ে ৩৮.৭০%।
বছর গড়িয়েছে দেশে গাড়ি বিক্রি বাড়েনি। এ দিন ফাডার প্রেসিডেন্ট আশিস হর্ষরাজ কালে বলেন, ‘‘আগ্রহীরাও কেনার সিদ্ধান্ত পাকা করছেন না। বিএস-৬ দূষণ বিধির গাড়ি বাধ্যতামূলক হচ্ছে বলেও অনেকে হাত গুটিয়ে আছেন। সার্বিক ভাবে বাজেট সকলের কথা ভেবে করা হলেও, অবিলম্বে গাড়ির চাহিদা বাড়ানোর পদক্ষেপ ছিল না তাতে।’’ শুধু তিন চাকা ও ট্রাক্টর বিক্রি বেড়েছে।
কালে জানান, সংস্থাগুলির কাছেও ডিলারদের আর্জি ৩১ মার্চের মধ্যে বিএস-৪ দূষণ বিধির গাড়ি কেনার লোক পাওয়া না-গেলে, সেগুলি তারা ফিরিয়ে নিক। কারণ, ১ এপ্রিল থেকে আর সেগুলি বেচা যাবে না। আর নগদের সমস্যা মেটাতে কথা চলছে ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। তবে সব কিছুর পরেও গাড়ি শিল্পকে বাঁচাতে যে বিশেষ পদক্ষেপই জরুরি, সেটা ফের স্পষ্ট করেছেন বিক্রেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy