প্রতীক্ষার অবসান। বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় নতুন আয়কর বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ১৯৬১ সালের আয়কর আইনে বদল আনতে এই বিল তৈরি করেছে কেন্দ্র। সংসদে বিলটি তোলার পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘আয়কর আইনের ধারা কমিয়ে ৫৩৬-এ নামিয়ে আনা হবে।’’ এ ছাড়াও আইনে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের কথা বলেছেন তিনি।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২৫-’২৬ আর্থিক বছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা। বাজেট বক্তৃতাতেই নতুন আয়কর বিল আনার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এর পর গত সপ্তাহে প্রথামাফিক বিলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভা। দেশের কর ব্যবস্থাকে সরল ও আধুনিক করতে নতুন বিলটি আনা হয়েছে বলে দাবি করেছে সরকার।
প্রসঙ্গত, নয়া বিল আনা হলেও নতুন করে কোনও আয়কর আরোপ করা হবে না বলে আগেই স্পষ্ট করেছিল কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে অর্থসচিব বলেন, ‘‘বিলটি আইনে পরিণত হলে আয়করের ক্ষেত্রে হ্রাস পাবে আইনি জটিলতা। করদাতারা সহজ সম্মতিতে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।’’
সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট বিলটিকে আইনের ধারাগুলির ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্ট এবং সহজ করা হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, বর্তমানে চালু থাকা আইনের তুলনায় ৫০ শতাংশ ধারা কমিয়ে নতুন বিলটি তৈরি করা হয়েছে। এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল মামলা-মোকদ্দমার সংখ্যা কমানো।
নতুন বিল আইনে পরিণত হলে আয়কর রিটার্ন জমা করা আরও সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে ‘মূল্যায়ন বছর’ (অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার) এবং ‘পূর্ববর্তী বছর’ (প্রিভিয়াস ইয়ার)— এই দু’য়ের উপর ভিত্তি করে জমা নেওয়া হয় আয়কর রিটার্ন। কিন্তু, নতুন বিলে ‘করবর্ষ’ চালু করার কথা বলেছে সরকার। আর্থিক বছরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই করবর্ষ আনা হচ্ছে বলে খবর সূত্রের।
এ দিন সংসদে বিলটি পেশ হওয়ার পর কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি ‘জটিল’ বলে এর কড়া সমালোচনা করেন। যদিও সেই অভিযোগ মানতে চাননি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী নির্মলা। তিনি আগের আইনের তুলনায় বিলটিকে অনেক বেশি সহজ-সরল বলে পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন।