দিন সার্বিক ভাবে ২.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার লগ্নি পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে রিলায়্যান্স। ফাইল ছবি
এখনই অবসর নিচ্ছেন না তিনি। তবে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের (আরআইএল) কর্ণধার মুকেশ অম্বানী তাঁর সাম্রাজ্যের দায়িত্ব ভাগ-বাঁটোয়ারার কাজটা মোটামুটি সেরে রাখলেন। সোমবার বার্ষিক সাধারণ সভায় সংস্থার শেয়ারহোল্ডার এবং গোটা দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরলেন ব্যবসার উত্তরসূরিদের— তিন ছেলেমেয়ে আকাশ, ঈশা ও অনন্তকে। এ দিন সার্বিক ভাবে ২.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার লগ্নি পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে রিলায়্যান্স। ৫জি পরিষেবা চালুর পাশাপাশি তাদের লক্ষ্য তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসার ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্য (এফএমসিজি) ব্যবসায় পা রাখা। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে আরও বড় লড়াইয়ে নামতেই এই সিদ্ধান্ত। ভোগ্যপণ্যে আরআইএলের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী যারা।
বড় ছেলে আকাশকে জিয়োর নেতৃত্বে আগেই এনেছিলেন মুকেশ। এ দিন আনুষ্ঠানিক সিলমোহর দিয়ে টেলিকম ব্যবসায় তাঁর খুঁটি আরও পোক্ত করলেন। আকাশের যমজ বোন ঈশার হাতে যে খুচরো ব্যবসা যাচ্ছে, সেই ইঙ্গিতও ছিল। বার্ষিক সভার মঞ্চে মেয়ের হাতে প্রত্যাশিত ভাবেই গেল খুচরো ব্যবসা এবং ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণের ভার। তুলনায় নতুন ব্যবসা বিকল্প বিদ্যুতের দায়িত্ব দেওয়া হল অনন্তের কাঁধে।
মুকেশ বলেছেন, ‘‘আকাশ ও ঈশা জিয়ো এবং রিটেলে (খুচরো ব্যবসা) নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারা গ্রাহক কেন্দ্রিক ব্যবসার গোড়া থেকেই মনপ্রাণ দিয়ে যুক্ত। অনন্তও নতুন ব্যবসায় আগ্রহ নিয়ে যোগ দিয়েছে। বেশিরভাগ সময় জামনগরে থাকে।’’ তবে পেট্রো-রসায়নের দায়িত্ব আলাদা ভাবে কাউকে দেননি তিনি। ওটাই অম্বানীদের মূল ব্যবসা ছিল। একাংশের দাবি, বিকল্প জ্বালানির ব্যবসা ওটার শাখা। তবে সেটিও অনন্তের ভাগে কি না, স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, তাঁর জন্য আট কোটি ডলারে দুবাইয়ে সমুদ্রের ধারে একটি ভিলা কিনেছে আরআইএল। যা ওই শহরে আবাসনের একটি ইউনিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দাম।
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, দায়িত্ব ভাগের তাড়াহুড়োর কারণটা স্পষ্ট। বিপুল ভাবে ব্যবসা ছাড়ানোর পরে ২০০২-এ আরআইএলের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই অম্বানী মারা যান। কিন্তু তিনি সম্পত্তির উইল না করায় ব্যবসার ভাগাভাগি নিয়ে দুই ভাই মুকেশ ও অনিলের তিক্ত বিরোধের সাক্ষী থাকে গোটা দেশ। শেষে ২০০৫ সালে সেই বাঁটোয়ারা করেন মা কোকিলাবেন। একাংশের মতে, হয়তো সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এত দ্রুত সিদ্ধান্ত। গত বছরের বার্ষিক সভায় পরের প্রজন্মের হাতে ব্যাটন তুলে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি। নেতৃত্ব হস্তান্তরের বার্তা দেন গত ডিসেম্বরে ধীরুভাইয়ের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy