ফাইল চিত্র।
সরকারের হাতে নগদের জোগান বাড়ানোর জন্য তাদের ঋণপত্র কিনছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কলেবরে বাড়ছে শীর্ষ ব্যাঙ্কের হিসেবের খাতাও। কিন্তু চলতি সঙ্কটে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এটা দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হতে পারে না বলে মন্তব্য করলেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন।
লকডাউনের ধাক্কায় রাজস্ব সংগ্রহ কমেছে কেন্দ্রের। এই ঘাটতি মেটাতে শীর্ষ ব্যাঙ্কের থেকে ধার নিচ্ছে তারা। রাজন জানান, শুধু ভারত নয়, বহু উন্নয়নশীল দেশই এই পথে নগদ সংগ্রহের রাস্তায় হাঁটছে। কিন্তু সরকারকে মনে রাখতে হবে, আদতে বাজারে চাহিদা কম। সাধারণ মানুষ খরচ না-করে সঞ্চয়ের দিকে জোর দিচ্ছেন। ব্যাঙ্ক ঋণের চাহিদাও সন্তোষজনক নয়। এই অবস্থায় ব্যাঙ্কগুলির হাতে উপচে পড়ছে নগদ। ঋণ দিতে না-পেরে বা দেওয়ার ঝুঁকি না-নিয়ে সেই টাকা তারা শীর্ষ ব্যাঙ্কের কাছে জমা রাখছে। অল্প হারে হলেও গুনছে রিভার্স রেপো রেটে সুদ। সেই টাকাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সরকারকে ধার দিচ্ছে ঋণপত্র কিনে। ফলে সেই তহবিলের পিছনেও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের খরচ রয়েছে। সে কারণে নগদের জোগানের ক্ষেত্রে এটা দীর্ঘমেয়াদি রাস্তা হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন রাজন।
বহু অর্থনীতিবিদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তহবিলের সাহায্যে রাজকোষ ঘাটতি মেটানোর কথা বলছেন। এই পদ্ধতির বিরোধিতা না-করলেও, এটিও স্থায়ী সমাধান নয় বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন রাজন। তাঁর দাবি, ব্যাঙ্কগুলি তহবিল জমিয়ে না-রেখে ঋণ বাড়ালে এবং দেশ বৃদ্ধির মুখ দেখলেই স্বাভাবিক গতি ফিরবে অর্থনীতিতে।
রাজন আরও জানান, অর্থনীতি পুরোপুরি চালু হলে আরও পরিষ্কার ভাবে বোঝা যাবে লকডাউনের ফলে কর্পোরেট ক্ষেত্রের ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতে মলম দেওয়ার জন্য তখন যেন ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির হাতে যথেষ্ট পরিমাণ নগদ থাকে। যাতে তারা পুঁজির জোগান দিতে পারে সংস্থাগুলিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy