গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি এবং তাঁর ভাইপো সাগর-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে ঘুষ ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছে আমেরিকা। আইনজীবী মহলের একাংশের মতে, অভিযোগের পিছনে প্রামাণ্য নথি থাকলেও, অদূর ভবিষ্যতে আদানিদের আমেরিকায় প্রত্যর্পণের সম্ভাবনা নেই। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য কোনও পক্ষই মুখ খুলতে চায়নি। তবে এর আগে আদানিদের দাবি ছিল, সংস্থা নিয়ম মেনে ব্যবসা করে। ঘুষের অভিযোগ ঠিক নয়।
আমেরিকার দাবি, বাজারের থেকে বেশি দামে সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বরাত পেতে ভারতে বিভিন্ন রাজ্যে সরকারি আধিকারিকদের আদানি গ্রিন এনার্জির (এজিএল) কর্ণধার গৌতম, সাগরেরা ২২০০ কোটি টাকা (২৬.৫০ কোটি ডলার) ঘুষ দিয়েছেন। সে কথা গোপন করে আমেরিকায় প্রকল্পের জন্য কোটি কোটি ডলার তোলে এজিএল। যা প্রতারণা। আদানিদের দাবি, গৌতম ও সাগর, এজিএলের ডিরেক্টর বিনীত জৈন আমেরিকার ঘুষ বিরোধী আইন ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করেনি আমেরিকা। তদন্ত আটকাতে তাঁদের কলকাঠি নাড়ার অভিযোগও নেই।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, সে দেশের সরকারি আইনজীবীরা জানতে পেরেছেন ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ সাগরকে এফবিআই-এর তরফে যে তল্লাশি পরোয়ানা ও সমন পাঠানো হয়, গৌতম আদানি নিজেই নিজেকে তার কপি ই-মেল করেছিলেন। সেই সঙ্গে সাগরের ফোনে লেনদেনের কিছু তথ্যও মিলেছে, যা ঘুষের তালিকা বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে তাঁদের দাবি এই সব তথ্যপ্রমাণের হাত ধরে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে এবং উল্টে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা সাজানোর কাজে লাগতে পারে। তবে একাংশের ধারণা, এ ক্ষেত্রে গৌতমকে ডেকে পাঠাতে নয়াদিল্লির সায় লাগবে। যা কেন্দ্র না-ও দিতে পারে। নভেম্বরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, মামলা নিয়ে অনুরোধ করেনি ওয়াশিংটন। মুখ খোলেনি আমেরিকার বিচার বিভাগ। তবে অনেকে বলছেন,এটা শুধু ঘুষের অভিযোগ নয়। মূলধনী বাজারের নিয়ম ভাঙা, যা মানা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy