Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Business News

ঋণখেলাপের অভিযোগে লন্ডনের আদালতে অনিল অম্বানীর বিরুদ্ধে রায় শীঘ্রই, ইঙ্গিত বিচারপতির

এ বছরের গোড়ার দিকে ‘এরিকসন’ সংস্থার ঋণখেলাপের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনিলের বিরুদ্ধে যায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। শীর্ষ আদালত ওই অর্থ এক মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে বলে অনিলকে। না মেটাতে পারলে অনিলের কারাদণ্ড হবে বলেও আদালতের তরফে জানানো হয়। সেই সময় অনিলের দাদা মুকেশ রক্ষাকর্তা হন ভাইয়ের।

শিল্পপতি অনিল অম্বানী। ছবি- এএফপি।

শিল্পপতি অনিল অম্বানী। ছবি- এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:১৪
Share: Save:

এশিয়ার সবচেয়ে ধনী, শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর ভাই অনিল অম্বানী হয়তো এ বার দোষী সাব্যস্ত হতে চলেছেন লন্ডনের আদালতেও। ঋণখেলাপের অভিযোগে।

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ৬৮ কোটি পাউন্ড ঋণখেলাপের অভিযোগ অস্বীকার করে ‘রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স’-এর কর্নধার অনিলের তরফে যে সব নথিপত্র দাখিল করা হয়েছে আদালতে, প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষার পর সেগুলিতে ‘সঙ্গতির অভাব’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। এও বলেছেন, ‘‘মনে হচ্ছে, অনিল অম্বানীর বিরুদ্ধে আদেশ জারির ক্ষেত্রে এই মামলায় কোনও জটিলতা নেই।’’ লন্ডনের আদালতে ওই মামলার শুনানি শুরু হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে।

এ বছরের গোড়ার দিকে ‘এরিকসন’ সংস্থার ঋণখেলাপের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনিলের বিরুদ্ধে যায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। শীর্ষ আদালত ওই অর্থ এক মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে বলে অনিলকে। না মেটাতে পারলে অনিলের কারাদণ্ড হবে বলেও আদালতের তরফে জানানো হয়। সেই সময় অনিলের দাদা মুকেশ রক্ষাকর্তা হন ভাইয়ের।

এ বারের অভিযোগ, চিনের তিনটি ব্যাঙ্ক ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক অফ চায়না’, ‘চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক’ ও ‘এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাঙ্ক অফ চায়না’ ২০১২ সালে অনিল অম্বানীর সংস্থা রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্সকে সাড়ে ৯২ কোটি পাউন্ড (প্রায় ৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা) ঋণ দিতে রাজি হয়। তার মধ্যে ৬৮ কোটি পাউন্ড (প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা) ঋণ এখনও মেটায়নি অনিল অম্বানীর সংস্থা। তিনটি চিনা ব্যাঙ্কের তরফে অনিলকে ওই ঋণখেলাপের অর্থ আদালতে জমা দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।

সে ব্যাপারে অবশ্য কোনও দিনক্ষণ বা শর্ত ঘোষণা করেনি লন্ডনের আদালত। বিচারপতি ডেভিড ওয়াক্সম্যান শুধু বলেছেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে নথিপত্র পরীক্ষার পর মনে হচ্ছে, অনিলের বিরুদ্ধে যথাযথ নির্দেশ জারির ক্ষেত্রে কোনও জটিলতা নেই।’’ আদালতে মামলার পরবর্তী শুনানি ফেব্রুয়ারিতে।

অনিলের তরফে আইনজীবীরা আদালতে জানিয়েছেন, ওই ঋণ দেওয়ার জন্য অনিলকে ব্যক্তিগত ভাবে ‘গ্যারান্টার’ হওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছিল। যার অর্থ, কোনও কারণে ঋণখেলাপ হলে, অনিল সেই অর্থ মিটিয়ে দিতে বাধ্য থাকবেন।

কিন্তু অনিলের আইনজীবীরা আদালতে জানিয়েছেন, তাঁদের মক্কেল এমন কোনও শর্ত মেনে ঋণ নেননি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy