প্রতীকী ছবি।
দেশের অন্য প্রান্তের মতো এ রাজ্যেও বাড়ছে পরিবেশবান্ধব ভবন (গ্রিন বিল্ডিং)। পুরনো ভবন, বাড়ি বা আবাসনকেও পরিবেশ সহায়ক করে তোলার চেষ্টা চলছে। গ্রিন বিল্ডিং নিয়ে সতেচনতা বাড়াতে সম্প্রতি কলকাতায় আয়োজিত সভায় এ কথা জানান বণিকসভা সিআইআইয়ের শাখা ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল-কলকাতার (আইজিবিসি) চেয়ারম্যান সুশীল মোহতা। তাঁদের হিসাবে, দূষণ কমাতে পশ্চিমবঙ্গে এমন প্রায় ৪০০টি ভবন এই স্বীকৃতি পেয়েছে। সেগুলির কিছু সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকিগুলি তৈরি হচ্ছে। ২০৩০-এর মধ্যে পরিবেশবান্ধব বাড়ি-ভবন ১২০০ ছোঁবে বলে আশা।
দূষণ কমিয়ে পরিবেশের মান উন্নত করতে গ্রিন বিল্ডিং তৈরিতে জোর দেওয়া হচ্ছে বেশ ক’বছর ধরেই। এ ক্ষেত্রে মূলত বাড়ি বা ভবনগুলি এমন ভাবে তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যাতে কম বিদ্যুৎ লাগে। জলের অপচয় না হয়। ভবনের উষ্ণতা বেশি বাড়বে না, এমন উপাদান ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে। নকশা করা হচ্ছে অন্দরমহলে অনেক আলো-হাওয়া খেলার উপযোগী করে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, গরম কম হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের (এসি) যন্ত্রের ব্যবহারও কমবে। বিদ্যুৎ লাগবে কম। সরকারের পাশাপাশি উদ্যোগে শামিল স্থাপত্যবিদ ও নির্মাণ শিল্প। সিআইআই এ জন্যই আইজিবিসি গঠন করেছে।
বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে আইজিবিসি, ক্রেডাই-বেঙ্গল এবং রোটারি ক্লাব অব ইনার সিটি যৌথ ভাবে সভার আয়োজন করেছিল। উপস্থিত থাকতে না পারলেও রাজ্যের আবাসন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বিবৃতিতে সরকারের তরফে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। শিল্পকে পরিবেশের উন্নয়নে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথাও জানাতে বলেছেন। সভার পরে সুশীল জানান, বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে, জলের অপচয় রুখে, দূষণ কমানোর উপযোগী গ্রিন বিল্ডিংয়ে রূপান্তরের পরিকল্পনা চলছে পুরনো ভবন-বাড়িগুলিকে। বেশ কয়েকটিতে সফল হয়েছে। তিনি জানান, নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কেএমডিএ এবং নগরোন্নয়ন ভবনকে গ্রিন বিল্ডিংয়ে বদলের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন।
হিডকোর এমডি দেবাশিস সেনের বার্তা, এমন বাড়ি, ভবন বা আবাসনে পরিবেশবান্ধব সাইকেল রাখা বা বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিংয়ের ব্যবস্থাও জরুরি। সুশীল জানান, এখন দেশে ১০,৯০০টির বেশি গ্রিন বিল্ডিং (মোট ১০২৭ বর্গফুট) রয়েছে। নথিভুক্ত প্রকল্পের হিসাবে ভারত দ্বিতীয়। সাত বছরে আরও ৪০০০টি ভবন বা আবাসন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy