Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
gold

Digital Gold: এক টাকাতেই সোনা, যখন খুশি কিনে রেখে দাম বাড়লে তোলা যাবে মুনাফা

একটা বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি সংস্থা ডিজিটাল সোনা কেনাবেচার উপরে নজরদারি চালায় না।

এক দিনে দু’লাখ টাকা পর্যন্ত ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করা যায়।

এক দিনে দু’লাখ টাকা পর্যন্ত ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করা যায়। প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৩৯
Share: Save:

সামনেই দীপাবলি। তার আগে ধনতেরস। এই সময়ে সোনা কেনার রীতি আছে। কিন্তু হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় অনেকেই কিনতে পারেন না। সাধ থাকলেও তা মেটানো যায় না সাধ্যের অভাবে। কিন্তু হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। সোনা কিনতে এখন আর একসঙ্গে অনেক টাকা লাগে না। চাইলে ডিজিটাল মাধ্যমে এক টাকারও সোনা কিনে রাখা যায়। বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে এই সোনা কেনার জন্য। সেই অ্যাপের লকারেই থেকে যাবে কেনা সোনা। যখন খুশি, যত টাকার সম্ভব সোনা কিনে ফেলা যায়। তা জমতে থাকে। আবার ইচ্ছে হলেই তা বিক্রি করে দেওয়া সম্ভব। সরাসরি প্রিয়জনের ফোন নম্বরে উপহার হিসেবেও পাঠানো যায় ওই ডিজিটাল সোনা। সোনার দাম প্রতিদিনই ওঠানামা করে। আন্তর্জাতিক বাজারের দরের সঙ্গে ভারতে দাম ঠিক হয়। যখন কম দর থাকে, সেই সময়ে কিনে রেখে সোনা দামি হলে তা বিক্রি করে দিলে মুনাফা পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে বিক্রিত সোনা বাবদ টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যায়। যাঁরা লাভের জন্য বিনিয়োগ করেন না, তাঁরা সোনাও নিতে পারেন। আবার বিশেষ আর্থিক প্রয়োজনে ওই সোনাকে টাকায় বদলে ফেলতে পারেন।

ভারতে ডিজিটাল সোনা বিক্রি করে তিনটি সংস্থা। এমএমটিসি পিএএমপি, অগমেন্ট গোল্ডটেক এবং ডিজিটাল গোল্ড ইন্ডিয়া। এই তিন সংস্থা পেটিএম, গুগল পে, ফোন পে, অ্যামাজন পে-র মাধ্যমে সোনা বিক্রি করে। ইদানীং কিছু জুয়েলারি সংস্থাও এই সব প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ডিজিটাল সোনা বিক্রি শুরু করেছে।

মনে রাখতে হবে, ডিজিটাল সোনা মানে সেটা সব সময়েই ২৪ ক্যারাট। অর্থাৎ, ৯৯৯.৯ শতাংশ খাঁটি। যে দিন যখন কেনা হবে সেই সময়ের দর অনুযায়ী পরিমাণ ঠিক হয়। সাধারণ ভাবে মনে হয় সোনায় বিনিয়োগ করতে একসঙ্গে অনেক টাকা লাগে। কিন্তু এই পদ্ধতির প্রধান সুবিধাই হল সামান্য পরিমাণেও সোনা কেনা যায়। তিল তিল করে তিলোত্তমা গড়ার সুবিধা রয়েছে। এক টাকা থেকে কেনা শুরু করা যায়। তবে এক দিনে সর্বোচ্চ দু’লাখ টাকার কেনা যায়।

এই পদ্ধতিতে সোনা কেনার একটা বড় সুবিধা হল নিরাপত্তার কথা আলাদা করে ভাবতে হয় না। সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা অ্যাপ তার লকারে রেখে দেয়। এই সোনায় ভেজাল (খাদ) থাকার কোনও ভয় নেই। ডিজিটাল গোল্ড কেনার জন্য যে কেউ বিনা খরচে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। শুধু ৩ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হয় কেনার সময়। সোনার দাম শহর অনুযায়ী আলাদা আলাদা হয়। তবে ডিজিটাল সোনার ক্ষেত্রে সেটা নয়। গোটা দেশে একই দরে কেনাবেচা করা যায়। বিক্রি করার জন্য ক্রেতার অপেক্ষাও করতে হয় না। যে প্লাটফর্মে সোনা কেনা রয়েছে সেখানেই সরাসরি বিক্রি করে টাকা নিয়ে নেওয়া যায়।

তবে একটা বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি সংস্থা ডিজিটাল সোনা কেনাবেচার উপরে নজরদারি চালায় না। তবে দিন দিন জনপ্রিয় হতে চলা ডিজিটাল সোনা নিয়ে খুব শীঘ্রই কিছু নিয়মাবলী ঠিক করতে পারে সেবি (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া)। তবে সে সব না হওয়ার আগে সতর্কতার সঙ্গেই বিনিয়োগ করা উচিত।

অন্য বিষয়গুলি:

gold gold and silver
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy