Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
economy

বেকারত্ব আরও উঁচুতে, দুশ্চিন্তা বাড়াল শহর

গত বছর করোনার প্রথম ঢেউ থেকে বাঁচতে লকডাউন জারি করেছিল কেন্দ্র। যার ফলে কাজ গিয়েছিল বহু মানুষের।

—ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২১ ০৫:৩৭
Share: Save:

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী লকডাউন না-হলেও রাজ্যে রাজ্যে চলছে কড়া বিধিনিষেধ এবং স্থানীয় লকডাউন। তার বিরূপ প্রভাব যে কাজের বাজারে পড়বে তা এক রকম প্রত্যাশিতই ছিল। সেই আশঙ্কা মিলিয়ে গত ১৬ মে শেষ হওয়া সপ্তাহেই দেশে ফের দুই অঙ্কে পা রাখে বেকারত্বের হার। উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী তা পৌঁছে যায় ১৪.৪৫%। আর ২৩ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে তা আরও মাথা তুলল। দাঁড়াল ১৪.৭৩ শতাংশে। এই এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রামের দিকে বেকারত্ব সামান্য কমলেও শহরে তা বেড়েছে কার্যত রকেটের গতিতে। ১৪.৭১% থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭.৪১%। আর গ্রামে ১৪.৩৪% থেকে কমে ১৩.৫২%।

কয়েকটি রাজ্যের বেকারত্বের হারও (সারণিতে) চমকে দেওয়ার মতো। কেউ কেউ পার করেছে ২০ শতাংশের গণ্ডি। পশ্চিমবঙ্গে তা অবশ্য ৭.৬%। উল্লেখ্য, বেকারত্ব নিয়ে সোমবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।

গত বছর করোনার প্রথম ঢেউ থেকে বাঁচতে লকডাউন জারি করেছিল কেন্দ্র। যার ফলে কাজ গিয়েছিল বহু মানুষের। সেই সময়ে এপ্রিল এবং মে মাসে দেশে বেকারত্ব ২০% ছাড়ায়। ৭ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহে তা ছিল ১৭.৫১%। পরে লকডাউন শিথিল হতে ধীরে ধীরে এই হার মাথা নামায়। এ বার সংক্রমণ ঠেকাতে স্থানীয় ভাবে কড়াকড়ি করে আর্থিক কর্মকাণ্ড কিছুটা চালানোর চেষ্টা করছে রাজ্যগুলি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যে ভাবে একের পর এক রাজ্যে স্থানীয় লকডাউনের বৃত্তে ঢুকে পড়েছে তাতে তার সামগ্রিক প্রভাব জাতীয় লকডাউনের প্রায় কাছাকাছি। এই অবস্থায় নতুন করে জীবিকার সঙ্কট প্রত্যাশিতই ছিল।

সিএমআইই কর্তা মহেশ ব্যাসের বক্তব্য, বিভিন্ন রাজ্যে স্থানীয় লকডাউনে পরিবহণ ব্যবস্থা ও জোগান শৃঙ্খল গত বারের তুলনায় কম ব্যাহত হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মাথা তুলেছে বেকারত্বের হার। বিশেষ করে গ্রামের দিকে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বিপুল কাজ সত্ত্বেও। সেটাও উদ্বেগের।

অন্য বিষয়গুলি:

Jobs economy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy