ছবি: সংগৃহীত
চাকরির বাজারে মহিলাদের আসা কমলেও, দেশে লগ্নির বিষয়ে আরও বেশি মেয়ে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে জানাল সমীক্ষা।
ইউনাইটেড নেশন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট (ইউএনজিসি) ইন্ডিয়ার সমীক্ষা বলেছে, ২০০৬ সালে দেশে মহিলা কর্মী ছিলেন ৩৪%। ২০২০ সালে তা নেমেছে ২৪.৮ শতাংশে। তাদের মতে, কাজের জগতে মহিলারা পুরুষের সমান ভাবে যোগ দিলে, ভারতের জিডিপি বাড়তে পারে ২৭% হারে। শুধু তা-ই নয়, মহিলাদের বেশিরভাগই সরকারি, প্রতিরক্ষা, বিমা, ইঞ্জিনিয়ারিং ও পরিকাঠামোর মতো ক্ষেত্রে কাজে আগ্রহী নন বলে জানিয়েছে নৌকরি ডট কমের এক সমীক্ষা। তবে চাকরির খোঁজার দিক থেকে পুরুষদের থেকে এগিয়ে তাঁরা।
১৫৩টি দেশের মধ্যে চালানো ইউএনজিসির সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে একমাত্র ভারতেই রাজনৈতিক ক্ষেত্রের চেয়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য বেশি। পাশাপাশি, বিশ্বে ৩৮.৭% কর্মরত মহিলারা যেখানে কৃষি, মৎস শিল্প-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করেন, সেখানে ১৩.৮ শতাংশের নিজেদের জমি আছে। সমীক্ষা বলছে, উপযুক্ত পরিকাঠামো না-থাকা ও মহিলাদের সম্পর্কে একতরফা মনোভাবই উৎপাদন শিল্পের মতো ক্ষেত্রে তাঁদের কাজের পিছনে সব চেয়ে বড় বাধা। যে কারণে নেতৃত্বের পর্যায়েও পৌঁছতে পারছেন না তাঁরা। সমতা ফেরাতে তাই সংস্থা এবং সরকারি নীতি তৈরির সব স্তরে এই লিঙ্গ বৈষম্যের কথা মাথায় রেখে এগোনো উচিত বলে মনে করে তারা।
তবে কাজের জগতে তাঁদের সংখ্যা কমলেও, মহিলারা আগের তুলনায় অনেক বেশি নিজেদের সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে নেটে আর্থিক পরিষেবা সংস্থা স্ক্রিপবক্সের সমীক্ষা। ৬০০ জনের মধ্যে করা সমীক্ষায় ৬৮ শতাংশই বলেন, হয় তাঁরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নেন নয়তো পরিবারের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে পুরুষের সঙ্গে সমান ভাবে মত দেন। প্রতি মাসে নিয়মিত টাকাও জমান তাঁদের ৮০%। টাকা রাখা এবং লগ্নির তথ্য পেতে নেট ঘাটেন ৪৭%। তাঁরা অনেকেই চান, স্কুলে লগ্নির বিষয়টিও পড়ানো হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy