—প্রতীকী চিত্র।
বকেয়া ঋণ উদ্ধার এবং সংস্থা পুনর্গঠনে দেউলিয়া বিধিকে আরও কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়েছে দেউলিয়া বিধি পর্ষদ। এর জন্য দেউলিয়া বিধি ট্রাইবুনালে আবেদনের আগেই মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে বকেয়া সংক্রান্ত বিরোধের মীমাংসার নিয়ম চালু করতে চলেছে তারা। তবে পর্ষদের দাবি, ট্রাইবুনালে মাধ্যমে বকেয়া ঋণের সমস্যা মেটানোর গতিও বেড়েছে।
শনিবার কলকাতায় বণিকসভা সিআইআই আয়োজিত এক আলোচনাসভায় পর্ষদের পূর্ণ সময়ের সদস্য সুধাকর শুক্ল জানান, মাস তিনেকের মধ্যেই মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে বকেয়া ঋণের সমস্যা মেটানোর বিধি চালু হবে। এ ব্যাপারে একটি রিপোর্ট তাঁদের কাছে জমা দিয়েছে ইনসলভেন্সি ল’ অ্যাকাডেমি (আইএলএ)। উল্লেখ্য, এখন দেউলিয়া মামলায় শুনানির আগেই ট্রাইবুনালের বাইরে দু’পক্ষের (ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতা) মধ্যে আপসে মীমাংসা চুক্তি করার ব্যবস্থা রয়েছে। ট্রাইবুনালের অনুমোদন সাপেক্ষে সেটি কার্যকর হয়। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এই প্রক্রিয়া এখনও তেমন জনপ্রিয় হয়নি। এ ব্যাপারে আইএলএ-র সভাপতি সুমন্ত বাত্রা জানান, ১ কোটি টাকা পর্যন্ত বকেয়ার ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতিতে বিরোধ মেটানো যায়। সে কারণে কিছু ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থাই বকেয়া ঋণের সমস্যার সমাধানে এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। যদিও তাতে সময় লাগছে বেশি। সে কারণেই মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে মীমাংসার নিয়ম চালুর চেষ্টা হচ্ছে। মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ-সহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে রিপোর্ট। সুধাকর জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের মতামত চাওয়া হয়েছে।
এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলের বড় অংশ। দেউলিয়া বিধি বিশেষজ্ঞ মমতা বিনানি বলেন, ‘‘প্রস্তাব কার্যকর হলে দ্রুত মামলার সমাধান হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, দীর্ঘদিন মামলা চলার ফলে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির বাজার দর হ্রাস পাচ্ছে। দ্রুত মীমাংসা হলে তা এড়ানো যাবে।’’ সুধাকর জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ২৭০টি মামলার সমাধান হয়েছে। তার আগের বছর হয়েছিল ১৮৯টি। বাত্রা জানান, রুগ্ণ সংস্থা হাতে নিয়ে পুনর্গঠন ব্যবস্থাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্যও একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে আইএলএ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy