কার্বন নির্গমন কমাতে বিশ্ব জোড়া উদ্যোগের অন্যতম শরিক ভারত। প্রতীকী ছবি।
কার্বন নির্গমন কমাতে বিশ্ব জোড়া উদ্যোগের অন্যতম শরিক ভারত। বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির বিকল্প ব্যবহারে জোর দেওয়া নিয়ে বিস্তর পরিকল্পনা চলছে। সেই লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গও সার্বিক ভাবে নীতি তৈরি করছে বলে সোমবার বেঙ্গল চেম্বারের সভার ফাঁকে জানালেন রাজ্যের অতিরিক্ত সচিব তথা বিদ্যুৎসচিব সুরেশ কুমার।
উষ্ণায়ন রুখতে বিকল্প বিদ্যুৎ ও জ্বালানির উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি পরিকল্পনা চলছে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর। বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বার এবং কলকাতায় ব্রিটেনের ডেপুটি হাই-কমিশনারের যৌথ উদ্যোগে এ দিন কার্বন নির্গমন কমানো নিয়ে এক সভা আয়োজিত হয়। ডেপুটি হাই-কমিশনার পিটার কুক সেখানে দেশের পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সকলকে হাত মিলিয়ে কাজ করার বার্তা দেন। বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এর পরিকল্পনা রূপায়নে বিপুল পুঁজির প্রয়োজনীয়তার কথাও জানান।
কার্বন নির্গমন হ্রাস প্রকল্পে বড় লগ্নির প্রয়োজনের কথা তোলেন সুরেশও। তবে তাঁর বক্তব্য, মজুত বেশি হওয়ায় পূর্বাঞ্চলে কয়লার উপর বাড়তি নির্ভরতা রয়েছে। উদাসীনতা আছে বিকল্প বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পর্কে। বাড়ির ছাদে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে উৎসাহ দিতে তেমন আগ্রহী নয় বণ্টন সংস্থাগুলিও। তাঁর দাবি, পাম্প স্টোরেজ প্রকল্প, জলবিদ্যুৎ কিংবা সমুদ্রে হাওয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পে জোর দেওয়া যায়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহারে রূপান্তরের যে লক্ষ্য ২০৩০-এর জন্য নেওয়া হয়েছে, তার প্রেক্ষিতেই রাজ্যে নীতি তৈরির ইঙ্গিত দেন তিনি। সুরেশ এ দিন হলুদ ট্যাক্সিকে বৈদ্যুতিক গাড়িতে রূপান্তরের মতো পরিকল্পনা খতিয়ে দেখার পক্ষে সওয়াল করেছেন। তবে সূত্রের খবর, দিল্লির সরকার এই নীতি প্রকাশ করলেও তার প্রযুক্তিগত বাস্তবতা ও সম্ভাব্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy