ফাইল চিত্র।
বছর ছয়েক আগে ইউনেস্কোর সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যশালী ১০টি হস্তশিল্পের পুনরুজ্জীবন ও প্রসারে ‘রুরাল ক্রাফট হাবস’ (আরসিএইচ) প্রকল্প চালু করেছিল রাজ্যের ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) দফতর। ২০১৬ সালে যার আওতায় ঠাঁই পায় কিছু লোকশিল্পও। রাজ্যের দাবি, এই পথে হেঁটে ইতিমধ্যেই হস্ত ও লোকশিল্পীদের আয় বেড়েছে। শুধু তাই নয়, সেই সব প্রকল্প ঘিরে তৈরি হচ্ছে পর্যটন ব্যবসারও নতুন সূত্রও।
রাজ্যের অর্থ তথা শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রের দাবি, ৩,০০০ থেকে বেড়ে হস্ত ও লোকশিল্পীর সংখ্যা এখন ২৫,০০০। তাঁদের প্রত্যেকের আয়ও আগের তুলনায় গড়ে ১৪ গুণ বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রকল্পের জন্য আমরা ৩৫ কোটি টাকা খরচ করেছি। ওঁদের ব্যবসার মোট পরিমাণ এখন ১০০ কোটি টাকারও বেশি। আগামী দু’বছরে তা ২০০ কোটিতে নিয়ে যেতে হবে। ১০টির মধ্যে আটটি হস্তশিল্প ভৌগলিক স্বীকৃতি (জিয়োগ্রাফিকাল আইডেন্টিফিকেশন বা জিআই) পেয়েছে।’’
আর ভারতে ইউনেস্কোর ডিরেক্টর এরিক ফল্ট (নয়াদিল্লি অফিস) জানাচ্ছেন, এই প্রকল্প রূপায়ণে পশ্চিমবঙ্গ এ বার পথ দেখাচ্ছে অন্য রাজ্যকেও। যেমন, রাজস্থানের স্থানীয় হস্ত ও লোকশিল্পের প্রসারে এ বার সেখানে এই প্রকল্প চালুর জন্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা।
২০১৩ সালে রাজ্যে ১০টি আরসিএইচ গড়ার পরিকল্পনা নেয় ছোট-মাঝারি শিল্প দফতর। যন্ত্রাংশ-সহ পরিকাঠামো গড়ার ভার দফতরের খাদি বোর্ডের উপর। আর শিল্পীদের প্রশিক্ষণের মূল দায়িত্ব ছিল ইউনেস্কোর। প্রায় ৩,০০০ হস্তিশিল্পী তাতে যুক্ত হন। ২০১৬ সালে কিছু লোকশিল্পকেও যুক্ত করে আরসিএইচ-কে সম্প্রসারণ করে ‘রুরাল ক্রাফট অ্যান্ড কালচারাল হাব’ (আরসিসিএইচ) গঠনের পরিকল্পনা নেয় রাজ্য। সোমবার তা নিয়ে সভার পরে ইউনেস্কোর কর্তা ও অমিতবাবু রাজস্থানের প্রসঙ্গটি জানান। এরিক বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ এ ক্ষেত্রে পথ প্রদর্শক। রাজস্থানের মতো রাজ্যের সঙ্গেও এই প্রকল্প করার কথা বলছি।’’
অতিরিক্ত মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের দাবি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে পর্যটনকেও জুড়তে চাইছে রাজ্য। অমিতবাবু জানান, আরসিসিএইচগুলিতে দিনে গড়ে ১.২০ লক্ষ পর্যটক ঘুরতে গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy