প্রতীকী ছবি।
সম্প্রতি কানপুরের সুগন্ধি ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের বাড়ি থেকে ২৩ কিলোগ্রাম সোনা উদ্ধার করেছে সরকার। হিসাববহির্ভূত সোনা রাখার দায়ে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। যুগ যুগ ধরেই অবশ্য ভারতীয়দের এই হলুদ ধাতুর প্রতি অত্যন্ত প্রীতি রয়েছে। বেশির ভাগেরই ঘরে কিছু না কিছু সোনা রয়েইছে। পরিমাণে কারও বেশি, কারও কম।
কিন্তু বাড়িতে সোনা রাখার একটি সীমা আছে, সেটা কি জানেন? সরকার সেই পরিমাণ বেঁধে দিয়েছে। যদি তার বেশি থাকে তা হলে বিপদে পড়তে পারেন। ধনতেরস হোক বা দীপাবলি, এই উৎসবগুলিতে ভারতীয়রা কিছু না কিছু সোনার জিনিস কিনে থাকেন। ঘরে মজুতও করেন। অনেকে আবার বিয়েতে পাওয়া সোনার প্রচুর গয়না বাড়িতে রেখে দেন। কিন্তু সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনা ঘরে রাখা যাবে।
কী সেই নিয়ম? কতটাই বা সোনা ঘরে রাখা যাবে?
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিবাহিত মহিলারা ঘরে সর্বাধিক ৫০০ গ্রাম সোনা রাখতে পারবেন। অবিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে সেটি ২৫০ গ্রাম এবং পুরুষরা ১০০ গ্রাম সোনা রাখতে পারবেন। এর জন্য সরকারকে আয়ের কোনও প্রমাণ দিতে হবে না। এই পরিমাণ সোনা ঘরে রাখলে আয়কর দফতরও তা নিজেদের হেফাজতে নিতে পারবে না।
যদি সরকারের বেঁধে দেওয়া পরিমাণের তুলনায় বেশি সোনা ঘরে থাকে, তা হলে অবশ্যই সরকারের কাছে সেই সোনার জন্য আয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে। কোথা থেকে সোনা কেনা হয়েছে, কী ভাবে কেনা হয়েছে এই সংক্রান্ত সব তথ্য আয়কর দফতরকে জানাতে হবে। ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডায়রেক্ট ট্যাক্স (সিবিডিটি) এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছিল, যদি কোনও নাগরিকের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণের তুলনায় অনেক বেশি সোনা পাওয়া যায় এবং তিনি যদি সেই সোনার যাবতীয় তথ্য প্রমাণ-সহ সরকারকে জানাতে পারেন, তা হলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে না। কিন্তু সঠিক তথ্য না দিতে পারলে জেল পর্যন্ত হতে পারে।
যদিও কারও বার্ষিক আয় ৫০ লক্ষের বেশি হয়, তা হলে আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময় জানাতে হবে তাঁর কাছে কত সোনা আছে, সেই সোনা কত টাকায় কিনেছিলেন এবং বর্তমানে তার মূল্য কত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy