ছবি: সংগৃহীত।
কেন্দ্রের পদক্ষেপ স্বাগত। তবে আরও ব্যবস্থা জরুরি। শনিবার আবাসন শিল্পের জন্য অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ঘোষণা সম্পর্কে এ কথাই জানাল সংশ্লিষ্ট শিল্প মহল।
টাকার অভাবে বন্ধ প্রকল্পে পুঁজি জোগাতে প্রায় ২০,০০০ কোটির তহবিল গড়ার কথা জানিয়েছেন নির্মলা। বণিকসভা সিআইআই, ইন্ডিয়ান চেম্বার, অ্যাসোচ্যাম-সহ আবাসন শিল্পের সকলেই এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু তাদের একাংশের মতে, তহবিলের টাকা দেওয়ায় বিভিন্ন শর্ত বেঁধেছে কেন্দ্র। যেমন বলা হয়েছে, অনুৎপাদক সম্পদ নয় এমন অ্যাকাউন্ট ও দেউলিয়া আইনে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালে যায়নি এমন সংস্থাই এই পুঁজি পাবে। জোর দেওয়া হবে কম দামি ও মাঝারি দামের আবাসন শেষ করায়। এতে তহবিলের আসল উদ্দেশ্য ধাক্কা খাবে বলে তাদের দাবি।
সংশ্লিষ্ট শিল্পের সংগঠন ক্রেডাইয়ের চেয়ারম্যান জাক্সে শাহ বলেন, ‘‘সরকার শুধু উপর থেকে মলম দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আসলে এই শিল্পের ক্ষত যে কত গভীর, তা বোঝার চেষ্টা করছে না।’’ তাঁর দাবি, দেশের বৃদ্ধিতে অবদানের দিক থেকে আবাসন দ্বিতীয় বৃহত্তম। এর সঙ্গে বহু মানুষের রুজি জড়িয়ে। ফলে তাঁরা কেন্দ্রের থেকে আরও বেশি পদক্ষেপ আশা করেন। প্রায় একই মত জানিয়ে নাইট ফ্র্যাঙ্কের সিএমডি শিশির বৈজলের দাবি, কেন্দ্র ঠিক পথে
এগোলেও, বিক্রি বাড়াতে অনেক কাজ করা বাকি। উপদেষ্টা সংস্থাটির পূর্বাঞ্চলীয় কর্তা স্বপন দত্তের আবার মত, কেন্দ্রের ঘোষণার বেশির ভাগটাই সংস্থাগুলির জন্য। ক্রেতাদের জন্য বেশি কিছু নেই। তবে কেন্দ্রের সদিচ্ছাকে স্বাগত জানিয়েছেন সকলে।
ইমামি রিয়েলটির কর্তা নীতেশ কুমারের যেমন মত, বৈদেশিক বাণিজ্যিক ঋণের শর্ত শিথিল করায় পুঁজি জোগাড় সহজ হবে সংস্থাগুলির পক্ষে। যার সুবিধা আদতে পাবেন ক্রেতারাই। সরকারি কর্মীদের বাড়ি তৈরির জন্য নেওয়া অগ্রিমের সুদ ১০ বছরের সরকারি ঋণপত্রের প্রকৃত আয়ের (ইল্ড) সঙ্গে যুক্ত করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্ত চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে মত মার্লিন গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান সুশীল মোহতার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy