—ফাইল চিত্র।
গত অর্থবর্ষে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিতে অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও, বেড়েছে প্রতারণা। মঙ্গলবার নিজেদের বার্ষিক রিপোর্টে এই কথা জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাদের মতে, অনুৎপাদক সম্পদ চিহ্নিত করে, তা আটকাতে করা পদক্ষেপ কাজে দিয়েছে। তবে বিশেষত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ঝুঁকি চিহ্নিত করার ব্যবস্থার অভাবে জালিয়াতি বেড়েছে বলে জানিয়েছে আরবিআই।
আজ ‘ট্রেন্ডস অ্যান্ড প্রগ্রেস অব ব্যাঙ্কিং ২০১৮-১৯’ শীর্ষক ওই রিপোর্টে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলেছে, ২০১৭-১৮ সালে সব বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক মিলে এনপিএ ছিল মোট ঋণের ১১.২%। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯.১০%। তবে গত অর্থবর্ষে আইএল অ্যান্ড এফএস, দিওয়ান হাউসিং-সহ একাধিক এনবিএফসি সঙ্কটে পড়ায় ওই শিল্পে এনপিএ বেড়েছে। ২০১৭-১৮ সালে তা ছিল মোট ঋণের ৫.৩%। ২০১৮-১৯ সালে বেড়ে হয়েছে ৬.১%।
সেই সঙ্গে শীর্ষ ব্যাঙ্ক বলেছে, গত অর্থবর্ষে ব্যাঙ্ক প্রতারণার হারও ৭৪% বেড়েছে। ২০১৭-১৮ সালে প্রতারণায় জড়িত ছিল ৪১,১৬৭ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ সালে বেড়ে হয়েছে ৭১,৫৪৩ কোটি। মোট প্রতারণার ৫৫.৪ শতাংশই ঘটেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। যত টাকার জালিয়াতি হয়েছে, তার ৯০.২ শতাংশের সঙ্গেই জড়িত তারা। এ দিকে, একের পর এক আর্থিক কেলেঙ্কারির জেরে সমবায় ব্যাঙ্কের মোট সম্পদ ক্রমশ কমছে বলেও জানানো হয়েছে রিপোর্টে। ২০১৮-১৯ সালে ওই সব ব্যাঙ্কের মোট সম্পদ বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের মোট সম্পদের ১০.৬ শতাংশে নেমেছে। ২০০৪-০৫ সালে তা ছিল ১৯.৪%।
তবে ব্যাঙ্কিং শিল্প নিয়ে আশার কথাও শুনিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাদের মতে, সংযুক্তির সুফল মিললে দেশে একাধিক শক্তিশালী ব্যাঙ্ক তৈরি হবে। বাড়বে তাদের আর্থিক ক্ষমতা ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, মজবুত হবে মূলধনের ভিত। যার নিট ফল হিসেবে দেশের একাধিক ব্যাঙ্ক আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কের মর্যাদা পেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy