ছবি এএফপি।
দীর্ঘ দু’দশক পরে ভারতের রেটিং কমিয়েছে মুডি’জ়। তবে মঙ্গলবার ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা সিকিউরিটিজ়ের দাবি, সারা বিশ্বের মতো এ দেশের অর্থনীতিও সমস্যার মুখে। তাই রেটিং ছাঁটা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ভারতের রেটিং ভবিষ্যতে লগ্নির অযোগ্য ‘জাঙ্ক’ স্তরে নামবে। আন্তর্জাতিক ব্রোকারেজ সংস্থাটির যুক্তি, ভারতের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার এখন শক্তিশালী। ভাল বর্ষায় কৃষি ক্ষেত্রে ফলনও ভাল হওয়ার পূর্বাভাস আছে। এগুলিই রেটিংয়ের আরও পতন থেকে রক্ষা করবে দেশকে। বরং সেই ভয় ঠেলে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে আরও ত্রাণের প্রয়োজনীয়তার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে তারা।
সোমবার ভারতের রেটিং ‘Baa2’ থেকে কমিয়ে ‘Baa3’ করেছে আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ়। এর নীচের ধাপই ‘জাঙ্ক’। সেই সঙ্গে মুডি’জ় জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে অর্থনীতি ৪% সঙ্কুচিত হতে পারে।
যদিও ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা সিকিউরিটিজ়ের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভারতের হাতে বড় অঙ্কের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার তো আছেই। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতেও ভবিষ্যতে আরও পুঁজি ঢালার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। রয়েছে ভাল ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা। ফলে রেটিং আরও কমার ভয় নেই এখনই। বরং করোনার ধাক্কা থেকে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে এখন আরও বেশি করে ত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রকে। সরকারি খরচে রাজকোষ ঘাটতি বাড়বে, এটা মাথায় না-রেখেই।
রিপোর্টে ব্রোকারেজ সংস্থাটির পূর্বাভাস, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি সরাসরি ২% কমতে পারে। আগে ৪.২% বৃদ্ধির কথা বলেছিল। রাজকোষ ঘাটতি হতে পারে ৬.৩%।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy