প্রতীকী ছবি।
বহু কল-কারখানায় অনেক সময়ই কিছু উদ্বৃত্ত জমি পড়ে থাকে। সেগুলিকে ফেলে না-রেখে ‘গ্রিনহাউস’ (গাছের জন্য কাচের ঘর) পরিকাঠামো গড়ে আনাজ চাষের জন্য শিল্পমহলকে উৎসাহিত করতে চায় রাজ্য। সেই পরিকাঠামো তৈরির খরচের অর্ধেক ভর্তুকি দেবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতর। তাদের দাবি, এর হাত ধরে এক দিকে যেমন কারখানার জমি পুনর্ব্যবহার মারফত বিকল্প আয়ের পথ খোলা যাবে, তেমনই এই পদ্ধতিতে চাষ করে কারখানার দূষণও কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
মূলত দামি আনাজ (ক্যাপসিকাম, ব্রোকোলি, লেটুস, টোম্যাটো) কিংবা স্বাভাবিক মরসুম ফুরোনোর পরেও নানা রকম আনাজ ফলাতে এই গ্রিনহাউস নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে উদ্যানপালন বিভাগ। তাদের বক্তব্য, শিল্প সংস্থার বাইরে কেউ আগ্রহী হলে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন। যদিও সম্প্রতি মার্চেন্ট চেম্বার, ভারত চেম্বারের মতো বণিকসভার আলোচনাচক্রে শিল্পমহলকে প্রকল্পে অংশ নেওয়ার বার্তা দেন দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুব্রত গুপ্ত।
সরকারি মহলের বক্তব্য, বিভিন্ন কারখানা বা শিল্প সংস্থার প্রকল্প এলাকায় অনেক ক্ষেত্রেই বাড়তি জমি পড়ে থাকে। সেখানে ৫০০ বর্গ মিটার জায়গায় ওই গ্রিনহাউস তৈরি করা সম্ভব। প্রতি বর্গ মিটারের জন্য খরচ পড়ে প্রায় ১০০০ টাকা। এই খরচের অর্ধেক ভর্তুকি হিসেবে দেবে রাজ্য।
প্রস্তাবিত এই পরিকাঠামোয় আনাজ চাষের সুবিধা একাধিক, দাবি দফতরের। যেমন, এ ক্ষেত্রে জল লাগবে কম। চাষের জায়গাটির গোটাটাই কাচ দিয়ে ঘেরা থাকায় পাখি, কাঠবিড়ালি বা কীট-পতঙ্গের হানায় গাছের বা ফলনের ক্ষতি খাওয়ার আশঙ্কাও থাকে না। পাশাপাশি আশেপাশে এত গাছ থাকলে কারখানার দূষিত পরিবেশে কিছুটা ভারসাম্য আসবে।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের দাবি, পরিকাঠামোটি গড়তে মাস দেড়েক সময় লাগবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে পারলে দু’আড়াই বছরের মধ্যে খরচ পুষিয়ে যাবে এই খাতে আয় থেকে। প্রাথমিক পর্যায়ে কয়েকটি জেলার চালকল, ঢালাই ক্ষেত্রের কিছু সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে দফতর সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy