ফাইল ছবি
আদানি গোষ্ঠী বলেছে, তারা নিজেদের ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় টেলিকম পরিষেবা চালু করার ইচ্ছে থেকেই আসন্ন ৫জি স্পেকট্রাম নিলামে অংশ নিতে আর্জি জানিয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলে জল্পনা, পদ্ধতিগত ভাবে নিলামে দর হাঁকার কারণ আপাতত এটা হলেও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি সত্যিই এতে সীমিত? নাকি আসলে টেলিকম ব্যবসায় পা রাখার জমি তৈরিতেই নামলেন গৌতম আদানি? উপদেষ্টা মহলের কেউ কেউ মুকেশ অম্বানীর সংস্থা রিলায়্যান্স জিয়োর উদাহরণও টানছেন। তবে শুধুমাত্র ৫জি স্পেকট্রাম হাতে নিয়ে পরবর্তীকালে সার্বিক টেলি ব্যবসায় পা রাখতে বিপুল পরিকাঠামো ও লগ্নির প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্সের (আর-কম) সম্পদ অধিগ্রহণ বা কুমার মঙ্গলম বিড়লার ভোডাফোন আইডিয়ার (ভি) অংশীদারি হাতে নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসছে চর্চায়।
গত ২০১০ সালে রিলায়্যান্স যখন স্পেকট্রাম (২৩০০ মেগাহার্ৎজ়) কেনে, তখন কথা বলার পরিষেবায় তা ব্যবহারের অনুমতি ছিল না। কেন্দ্র নিয়ম বদলানোয় সেই অনুমতি মেলে তিন বছর পরে। তখন প্রয়োজনীয় লাইসেন্স নেয় মুকেশের সংস্থা। সে কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা সংস্থা জেফারিজ়ের বক্তব্য, এখন প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে তাদের নিজস্ব ব্যবহারের পরিষেবা চালুর জন্য স্পেকট্রাম বরাদ্দে সায় দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু পরে শর্ত বদলাতে পারে। তখন টেলি পরিষেবা শুরু করতে পারে আদানিরা।
আদানি গোষ্ঠীর অবশ্য দাবি, তারা আমজনতার জন্য টেলিকম ব্যবসায় পা রাখতে আগ্রহী নয়। তবে আর এক উপদেষ্টা গোল্ডম্যান স্যাক্সের মতে, বিভিন্ন সংস্থার ৫জি পরিষেবায় প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমজনতার জন্য পরিষেবা বিস্তারের দরজাও খুলবে তাদের সামনে। সে ক্ষেত্রে আর-কমের পরিকাঠামো ব্যবহার বা ভি-র সঙ্গে স্পেকট্রাম-চুক্তিও অস্বাভাবিক নয়, ইঙ্গিত মোতিলাল অসওয়াল-এর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy