—প্রতীকী ছবি।
গত মার্চের পূর্বাভাসে মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ জানিয়েছিল চলতি অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) ভারতীয় অর্থনীতি ৬% হারে এগোতে পারে। তবে বৃহস্পতিবারের রিপোর্টে সেই হার বাড়িয়ে ৬.৩% করল তারা। জানাল, ব্যাঙ্ক ঋণের হার বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারি খরচ-সহ বিভিন্ন কারণে অর্থনীতির গতি বাড়ছে। তবে একই সঙ্গে মূল্যায়ন সংস্থাটি জানিয়েছে, এখন অর্থনীতিকে গতিশীল দেখালেও কিছু ঝুঁকির দিককে অগ্রাহ্য করা যাবে না। যেমন, বিলম্বিত বর্ষা এবং এল নিনোর প্রভাব অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে কতটা পড়ে সে দিকে নজর রাখতে হবে। অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক চলতি অর্থবর্ষে ৬.৫% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। আবার বিশ্ব ব্যাঙ্ক সম্প্রতি পূর্বাভাস ছেঁটে নামিয়েছে সেই ৬.৩ শতাংশে।
ফিচের ব্যাখ্যা, ভারতে উৎপাদন ক্ষেত্রের গতি বাড়ছে। উন্নতি দেখা যাচ্ছে নির্মাণ এবং কৃষি ক্ষেত্রে। পাশাপাশি, সম্প্রতি মূল্যবৃদ্ধির হার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় সাধারণ মানুষের খরচের ক্ষমতা বেড়েছে। উৎপাদন সূচক (পিএমআই), গাড়ি বিক্রি, বিদ্যুতের চাহিদা-সহ অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক ইতিবাচক। সে দিকে তাকিয়েই পূর্বাভাস ৩০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে।
তবে ফিচের রিপোর্ট, হাওয়া অফিস স্বাভাবিক বর্ষার পূর্বাভাস দিলেও বর্ষা নামতে দেরি হয়ে গিয়েছে। এল নিনোর আশঙ্কা এখনই খারিজ করে দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে মূল্যবৃদ্ধির হার আপাতত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে জিনিসপত্রের দাম কোন জায়গায় যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ফিচ আরও বলছে, বিশ্ব বাণিজ্য শ্লথ হওয়ার কারণেও ধাক্কা খেতে পারে ভারতের অর্থনীতি। বস্তুত, গত কয়েক মাসে ধরে রফতানি নিম্নমুখী এবং বাণিজ্য ঘাটতি ক্রমাগত বাড়ছে। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলে। সেই সঙ্গে অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ইতিবাচক বার্তা দিলেও ফিচ এবং মুডি’জ়ের মতো মূল্যায়ন সংস্থাগুলি ভারতের ক্রেডিট রেটিংকে বিবিবি মাইনাসে অপরিবর্তিত রেখেছে। যা ঋণযোগ্যতার শেষ ধাপ। রেটিংয়ের উন্নতির জন্য ইতিমধ্যেই মুডি’জ়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy