Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

কিসে সন্তুষ্ট বাজার? উত্তর খুঁজছে অর্থ মন্ত্রক

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন অর্থমন্ত্রী। নগদের জোগান বাড়াতে ও লগ্নি আনতে কিছু ঘোষণা হতে পারে।

নির্মলা সীতারামন।

নির্মলা সীতারামন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:০৮
Share: Save:

বাজেটের ঘোষণায় মুখ ভার হয়েছিল শেয়ার বাজারের। আয়ের উপরে সারচার্জ বাড়ায় বিশেষত অখুশি হয়েছিল বিদেশি লগ্নিকারীরা। তার পরে অর্থনীতি ও বাজারকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে কয়েক দফা দাওয়াই ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তাতেও যে অবস্থার বিশেষ হেরফের হয়েছে এমন নয়। কী করলে ঘুরে দাঁড়াবে বাজার, এখন তার উত্তরই খুঁজছেন অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন অর্থমন্ত্রী। নগদের জোগান বাড়াতে ও লগ্নি আনতে কিছু ঘোষণা হতে পারে। মন্ত্রকের কর্তাদের উদ্বেগ, তা সত্ত্বেও ফের বাজারে ধস নামবে না তো?

কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার মন্তব্য, ‘‘২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে শেয়ার বাজারে প্রায় ২০ লক্ষ কোটি টাকা খুইয়েছেন লগ্নিকারীরা। অথচ সরকার অর্থনীতির অসুখ বুঝতে পারছে না।’’ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা বুধবার ফের মোদী সরকারকে নিশানা করে বলেছেন, ‘‘অর্থনীতির বহর ৫ লক্ষ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রোজ হেডলাইন তৈরির চেষ্টা করে আর্থিক সংস্কার হয় না। বিদেশে অনুষ্ঠান করেও লগ্নি আসে না। লগ্নিকারীদের ভরসা পেতে হয়। সেই ভরসার জায়গাটাই সরে গিয়েছে।’’

পরিসংখ্যানও অভিযোগের পক্ষেই কথা বলছে। মোদী সরকার প্রথম ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি এ দেশের বাজারে ৪,৫০০ কোটি ডলার ঢেলেছিল। কিন্তু জুন থেকে অগস্ট পর্যন্ত তারাই নিট ৪৫০ কোটি ডলারের শেয়ার বেচেছে। ১৯৯৯ সালের পর থেকে তিন মাসে এতটা বিদেশি লগ্নি বেরিয়ে যাওয়ার রেকর্ড আর দেখা যায়নি। লন্ডনের ওডিয়ের ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার্সের চিফ ইনভেস্টমেন্ট স্ট্র্যাটেজিস্ট সলমন অহমেদের মত, ‘‘২০১৪-র মোদীকে ঘিরে উন্মাদনা এখন ম্লান।’’

অর্থনীতিবিদদের ব্যাখ্যা, লগ্নিকারীরা ভুল করছেন বলা যায় না। কারণ, তেলের দাম বাড়ায় বৃদ্ধির হার কমা ও মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা গিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কই মেনে নিয়েছে, রাজকোষ ঘাটতি, বিদেশি মুদ্রার ঘাটতি বাড়তে পারে। বাজেটে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের আয়ে সারচার্জ বসানোর পর থেকেই টাকা তুলে নেওয়া শুরু হয়েছিল। শুধু সেপ্টেম্বরেই বিদায় নিয়েছে নিট ৫২.৪ কোটি ডলার। অনেকের ব্যাখ্যা, টাকার দাম পড়ছে। তা সত্ত্বেও বেশি টাকা খরচ করে বিদেশি লগ্নিকারীরা শেয়ার বেচে দিয়ে চলে যাচ্ছে। তা থেকেই স্পষ্ট যে, তারা এখন নিরাপদ গন্তব্য খুঁজছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Nirmala Sitharaman Economy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy