নির্মলা সীতারামন। —ফাইল ছবি।
পরের মাসের শেষের দিকে সংসদে পেশ হতে চলেছে তৃতীয় দফার মোদী সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তার আগে ১৭ জুনের মধ্যে কর সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের মতামত চাইল অর্থ মন্ত্রক। যেখানে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ করে কী কী বদল প্রয়োজন বলে শিল্পমহল মনে করছে, তা জানতে চেয়েছে তারা। কেন এই বদল জরুরি, এতে সকল পক্ষের কী উপকার হবে-সহ সমস্ত যুক্তি দিতে বলা হয়েছে। করের হার সংশোধন এবং কর সংক্রান্ত মামলা কমানোই এর লক্ষ্য। সেই সঙ্গে সরকার চায় মাঝারি মেয়াদে করে ছাড়, উৎসাহের সুবিধা তুলে দিতে ও কর কাঠামো ঢেলে সাজাতে।
অর্থ মন্ত্রক বলেছে, আমদানি এবং উৎপাদন শুল্কে কী কী বদল দরকার এবং কেন দরকার, তা পণ্যের উৎপাদন, দাম এবং রাজস্ব আদায়ে এর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে জানানোর কথা। পাশাপাশি, পণ্যের উৎপাদনের প্রতিটি ধাপের ব্যাখ্যা দিয়ে ইনভার্টেড ডিউটি স্ট্রাকচার (যেখানে শেষ পণ্যের তুলনায় কাঁচামালে কর বেশি) পাল্টানো কেন জরুরি, তারও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে কর সংক্রান্ত মামলা কমানো, করদাতাদের ঝক্কি যাতে না হয় তার পথ খোঁজা এবং করে স্থিরতার প্রসঙ্গও তুলেছে মন্ত্রক।
কেন্দ্র কর ছাড় তুলতে চাইলেও অবশ্য বাজেটের আগে পরিবেশ বান্ধব বন্ডে লগ্নির ক্ষেত্রে সেই সুবিধা দাবি করেছে সেবি। শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রকটির পূর্ণ সময়ের সদস্য কমলেশ চন্দ্র ভার্সেনির মতে, সমাজকল্যাণ মূলক ক্ষেত্রে লগ্নি করলে কর্পোরেটগুলি যে রকম করছাড় পায়, ‘জ়িরো কুপন জ়িরো প্রিন্সিপাল বন্ডের’ ক্ষেত্রেও সেই সুবিধা থাকা দরকার। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে সায় মিলবে বলে তাঁরা আশাবাদী। উল্লেখ্য, সোশ্যাল স্টক এক্সচেঞ্জগুলিতে নথিভুক্ত অলাভজনক সংস্থাগুলি এই বন্ডের মাধ্যমে টাকা তোলে। বর্তমানে এই প্রকল্পে আয়কর আইনের ৮০জি ধারায় করছাড় মেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy