ভারতে বিপুল ব্যাঙ্কঋণ বাকি ফেলে বিদেশে আত্মগোপন করে থাকা বিজয় মাল্যের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি আইনগত ভাবে ইন্টারপোলের অবশ্য কর্তব্য বলে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থাটিকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ভারতের এই গোয়েন্দা সংস্থাটির দাবি, আইনি ভাবে যা যা করা দরকার ছিল সমস্তটাই খুঁটিয়ে সম্পন্ন করেছে তারা। অতএব এ বার ওই নোটিস জারি করতে দায়বদ্ধ ইন্টারপোল। বিশেষ করে খোদ আদালতের তরফেই যেখানে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে চারপাশের এত চাপ সত্ত্বেও বিন্দুমাত্র দমেননি কিংগ্ফিশার কর্তা। বরং তাঁর বিরুদ্ধে ইডি-র তদন্তকে চূড়ান্ত পক্ষপাতিত্বপূর্ণ বলে রবিবারই আঙুল তুলেছেন মাল্য। মাল্য ও তাঁর সংস্থা ইউবি লিমিটেডের ১,৪১১ কোটি টাকার সম্পত্তি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন কিংগ্ফিশার কর্তার অভিযোগ, ‘‘এই কাজের পেছনে না-আছে কোনও যুক্তি, না-আছে আইনি ভিত্তি। ঋণ শোধ না-করার মতো দেওয়ানি আইনের আওতায় থাকা একটি বিষয়কে ভিত্তিহীন ভাবে ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক থেকে কিংগ্ফিশারের ধার নেওয়া ৯০০ কোটি টাকার একাংশ বেআইনি ভাবে সরানো এবং আরও কিছু আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে কালো টাকা প্রতিরোধ আইনের আওতায় মাল্যের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে ইডি। তাঁকে ইন্টারপোলের মারফত গ্রেফতার করিয়ে দেশে ফেরাতে চাইছে তারা। বিশ্ব জুড়ে মাল্যের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস বা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আগে ইডি-র কাছে কয়েকটি বিষয়ের ব্যাখ্যা চেয়েছিল ইন্টারপোল। জবাবে ইডি বলেছে, ‘‘সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া মিটিয়েছে তারা। এ বার গ্রেফতারি পরোয়না জারির দায় ইন্টারপোলের।’’ তবে এ ব্যাপারে মাল্যের বিদ্রুপ, ‘‘কেন আমাকে ফেরার ঘোষণা করতে চাওয়া হচ্ছে তা ঠিক বুঝলাম না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy